পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছেন পিএমএল-এনের সভাপতি শাহবাজ শরিফ। এতে তিনি ২৪তম প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন দেশটির। শাহবাজ শরিফ ২০১ ভোট পেয়েছেন। ইমরান খানের দল পিটিআইয়ের পক্ষে প্রধানমন্ত্রী পদে প্রার্থী ওমর আইয়ুব খান পেয়েছেন ৯২ ভোট। রোববার (৩ মার্চ) দেশটির জাতীয় পরিষদের স্পিকার সরদার আয়াজ সাদিক এ ঘোষণা দেন। খবর দ্য ডন।
এর আগে দুপুর ১২টার দিকে দেশটির ১৬তম সাধারণ নির্বাচনের প্রায় দু’মাস পর জাতীয় পরিষদের প্রথম অধিবেশন শুরু হয়। এই অধিবেশনের কেন্দ্রে ছিল ২৪তম প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত করতে সরাসরি ভোটগ্রহণ পর্ব।
এবারের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের পেছনে পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি), মুতাহিদা কওমি মুভমেন্ট-পাকিস্তান (এমকিউএম-পি), ইস্তেহকাম-ই-পাকিস্তান পার্টিসহ ৭টি দলের সমর্থন পেয়েছেন।
পাকিস্তানে প্রধানমন্ত্রী হতে হলে কোনো প্রার্থীকে জাতীয় পরিষদের ৩৩৬ সদস্যের মধ্যে ১৬৯ জনের ভোট পেতে হয়। যদি প্রধানমন্ত্রী পদে দুইয়ের অধিক প্রার্থী থাকেন এবং কোনো প্রার্থীই সংখ্যাগরিষ্ঠতা (১৬৯ ভোট) পেতে ব্যর্থ হন; তবে আবারও ভোট নেয়ার বিধান রয়েছে। প্রথম দফায় সবচেয়ে বেশি ভোট পাওয়া দুজন পরবর্তী দফায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। যিনি ৫১ শতাংশ ভোট পাবেন, তিনি পাকিস্তানের নতুন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হবেন।
দেশটির জাতীয় পরিষদে মোট ৩৩৬টি আসন রয়েছে। এর মধ্যে ৭০টি আসন সংরক্ষিত। নারীদের ৬০টি ও সংখ্যালঘুদের জন্য ১০টি। তবে সংরক্ষিত আসনের সদস্য নির্বাচন ছাড়াই আজ প্রধানমন্ত্রী পদে ভোট হয়।
মিয়া মুহাম্মদ শাহবাজ শরীফ জন্ম ২৩ সেপ্টেম্বর ১৯৫১। ২০২২ সালের ১০ এপ্রিল অনাস্থা ভোটে হেরে ইমরান খান ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর ১১ এপ্রিল তিনি প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন। এর আগে তিনি পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
তিনি বিশিষ্ট রাজনৈতিক শরীফ পরিবারের সদস্য, তিনি মিয়া শরীফ এবং পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফের ভাই, যিনি পাকিস্তান মুসলিম লীগের (এন) সভাপতিও ছিলেন। শাহবাজ শরীফ ১৯৮৮ সালে পাঞ্জাব প্রাদেশিক পরিষদে নির্বাচিত হন এবং ১৯৯০ সালে জাতীয় পরিষদে নির্বাচিত হন। ১৯৯৩ সালে তিনি আবার পাঞ্জাব অধিবেশনে নির্বাচিত হন এবং বিরোধীদলীয় নেতা হন। ১৯৯৭ সালে তৃতীয়বারের মত নির্বাচন করে শরিফ ২০০৫ সালে পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন।