ছোটখাট বিষয়ে সিরিয়াস থাকাও যেমন উচিত নয়, ঠিক তেমনই সব বিষয় উড়িয়ে দেওয়াও কাজের কথা নয়। এই দুই ব্যক্তিত্বের দুর্বলতার দিকে ইঙ্গিত করে। তবে কিছু মানুষ এই বিষয়টা বুঝেও বুঝতে পারেন না। তাই তারা অবলীলায় সব কিছু উড়িয়ে দেন। কোনো বিষয় নিয়েই সিরিয়াস থাকেন না। আর ভাগ্যক্রমে এমন কোনো নারীর সঙ্গে মন দেওয়া-নেওয়া হয়ে গেলেই বিপদ। সেক্ষেত্রে প্রেমের রাস্তায় প্রতি পদে বাধা পেতে হবে। এটাই যে মূল সমস্যা।
তাই সম্পর্কের ভালো চাইলে আজই প্রেমিকার মতিগতি বদলে ফেলার চেষ্টায় লেগে পড়ুন। আর সেই কাজে আপনাকে সাহায্য করবে এই নিবন্ধে উল্লেখিত কিছু টিপস। চলুন জেনে নেই টিপসগুলো-
তার ঘাড়ে চাপান দায়িত্ব
তিনি নিশ্চয়ই কোনো দায়িত্ব মাথায় নিতে চান না। সেই কারণে তার মধ্যে কোনো বিষয় নিয়ে সিরিয়াস নেই। তাই আজ থেকে তার ওপর কিছু বিষয়ের দায়িত্ব চাপান। তা হলেই দেখবেন প্রেয়সীর ব্যক্তিত্বের পরিবর্তন ঘটবে। তার মধ্যেও আসবে সিরিয়াসনেস। তিনিও আপনার কথার গুরুত্ব বুঝবেন। তাই আজ থেকেই তার ঘাড়ে দায়িত্ব দেওয়ার কাজটি শুরু করে দিন।
সবসময় সিরিয়াসনেস নয়
আপনি কি সবসময় সিরিয়াস হয়ে কথা বলেন? তার সঙ্গে হাসিঠাট্টা করেন না? তা হলে যে তিনি আপনার কোনো কথাই শুনবেন না। সব কথাকেই টেকেন ফর গ্র্যান্টেড করে নেবেন। তাই এবার থেকে সবসময় মুখ গম্ভীর করে রাখবেন না। বরং সিরিয়াস কথা কম বলার চেষ্টা করুন। কিছুটা সময় হাসিঠাট্টা করুন। বলুন প্রেমের কথা। আশা করছি, এই নিয়মটা মেনে চললেই প্রেমিকা আপনার কথায় গুরুত্ব দেবেন।
তার সিদ্ধান্ত তাকেই নিতে দিন
প্রেমিকা কোনো সমস্যায় পড়লে কি আপনি আগবাড়িয়ে তার সমাধান করার কাজে লেগে পড়েন? উত্তর হ্যাঁ হলে যে সাবধান হতে হবে। কারণ আপনার এই কার্যকলাপই প্রেমিকাকে সিরিয়াস হতে দিচ্ছে না। বরং তিনি আপনার প্রতি নির্ভরশীল হয়ে পড়ছেন। তাই আর সময় নষ্ট না করে তার সমস্যার মধ্যে মাথা গলাবেন না। বরং তাকেই সমাধান করতে দিন। আশা করছি, এর পর তার মধ্যে পরিবর্তন দেখতে পাবেন।
কথা কমিয়ে দিন
এত চেষ্টা করার পরও যদি প্রেমিকা না শোনেন, তা হলে তার সঙ্গে বেশি কথা বলা চলবে না। তিনি কথা বলতে এলেও চুপ করে থাকুন। তা হলেই দেখবেন তার কাছে আপনার রাগের বার্তা যাবে। এরপর তিনি চেষ্টা করবেন কিছু বিষয় নিয়ে সিরিয়াস থাকার। আর এটাই যে আপনার জয় বন্ধু। তাই সব অস্ত্র ব্যর্থ হলে এই ব্রহ্মাস্ত্র ব্যবহার করতে ভুলবেন না যেন!
কিছু আচরণ ছাড়ুন
মনে রাখবেন, অনেক ক্ষেত্রে মানুষের ব্যক্তিত্বের গভীরে লুকিয়ে থাকে এই ধরনের আচরণ। আর সেই সমস্যার সমাধান করা আপনার জন্য কাম্য নয়। তাই শত চেষ্টা করার পরও যদি তার মধ্যে পরির্বতন না আসে, তা হলে এই বিষয়টা নিয়ে ভাবা ছেড়ে দিন। পারলে এভাবেই সম্পর্ককে এগিয়ে নিয়ে যান কিংবা অন্য ভাবে ভাবতে পারেন। এই দুটো পথ ছাড়া আর সত্যিই তেমন কিছু করার নেই।