‘ডি’ গ্রুপে সূচনাটা ভালোই হয়েছে বাংলাদেশের জন্য। কিছুটা কষ্ট করতে হলেও শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রেস্টিজিয়াস ম্যাচে ঠিকই জয় তুলে নিয়েছে টাইগাররা। গ্রুপে বাংলাদেশের পরের ম্যাচেই অপেক্ষাকৃত কঠিন প্রতিপক্ষ অপেক্ষা করছে। নিউইয়র্কে নাসাউ কাউন্টি স্টেডিয়ামে তাদের প্রতিপক্ষ দক্ষিণ আফ্রিকা। এখন পর্যন্ত ৮ ম্যাচ খেলে যাদের বিপক্ষে কোনো জয় নেই টাইগারদের।
দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে বাংলাদেশ ক্রিকেটের সম্পর্ক বেশ পুরাতন। টেস্ট স্ট্যাটাস পাওয়ার আগে দক্ষিণ আফ্রিকার এডি বারলো বাংলাদেশের কোচ হয়েছিলেন। গত বিশ্বকাপে ছিলেন প্রোটিয়া কিংবদন্তি অ্যালান ডোনাল্ড। তার আগেও ছিলেন রাসেল ডোমিঙ্গো।
বাংলাদেশ অধ্যায় শেষ হলেও এখনও টাইগার ক্রিকেটকে নজরে রেখেছেন ডোনাল্ড। সাবেক শিষ্যদের পারফরম্যান্সে বেশ উচ্ছ্বসিত তিনি। ম্যাচ না দেখলেও পরে হাইলাইটস দেখতে ভুল করেননি।
এক গণমাধ্যমকে তিনি জানান, ‘যুক্তরাজ্য থেকে কেবলই পারিবারিক ছুটি কাটিয়ে ঘরে ফিরেছি আমি। দূর্ভাগ্যবশত খেলাটা আমার দেখা হয়নি। কিন্তু তারপরেও আমাদের এখানে সুপারস্পোর্টসে পুরো হাইলাইটস দেখানো হয়েছে। পেসারদের নিয়ে আমি খুবই খুশি। মুস্তাফিজের তিন উইকেট, তাসকিনের দুটা আর তানজিম একটা। দারুণ পারফরম্যান্স ছিল। তাসকিন এখন পেস বিভাগে নেতৃত্ব দিচ্ছে। তার জন্য বিষয়টা দারুণ দেখে ভালোই লাগছে। তাদের সবার জন্যই ভালো লাগছে।’
বাংলাদেশের জয়ে খুশি হলেও, সাবেক গুরু ডোনাল্ড কিছুটা অসন্তোষ বেশি উইকেট হারানোর কারণে। তার মতে, আরও আগেই ম্যাচ জেতা উচিৎ ছিল টাইগারদের, ‘আমার মনে হয়নি বাংলাদেশ এমন খেলবে, যেখানে আট উইকেট চলে যাবে। কিন্তু এবারের বিশ্বকাপের অবস্থাই এমন। উইকেট একেবারেই অচেনা। ১৪০-১৩৫ই অসাধারণ স্কোর। দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচেও এখন তাই দেখছি (নেদারল্যান্ডস ম্যাচ চলাকালে)। ওরা বেশ চাপে আছে ডাচদের বিপক্ষে। বাংলাদেশের ৬ উইকেটের মধ্যেই ম্যাচ শেষ করা উচিত ছিল। ৮ উইকেট যাওয়া, ১৮ ওভার পর্যন্ত যাওয়া উচিত হয়নি।’
পরের ম্যাচ তারই নিজের দেশের বিপক্ষে। একদিকে দেশ, অন্যদিকে সাবেক শিষ্যরা। ডোনাল্ড বেছে নেবেন কাকে? এমন প্রশ্নের উত্তরে কিংবদন্তি এই পেসার বললেন, ‘একজন দক্ষিণ আফ্রিকার হিসেবে, আমি দক্ষিণ আফ্রিকাকেই বেছে নেবো-এটা নিয়ে কোনো সংশয় নেই। কিন্তু এটা এমন একটা খেলা, যেটা যেকোনো দিন, যে কারোরই হতে পারে। যুক্তরাষ্ট্র সেটা করে দেখিয়েছে, আফগানিস্তান শক্তিশালী নিউজিল্যান্ডকে বেশ সহজেই হারিয়েছে।’
‘এটা বেশ কঠিন এক পিচ। বোলাররাই এখানে আধিপত্য দেখিয়েছে। বিশেষ করে পেসাররা। তাসকিন, শরিফুল, মুস্তাফিজরা ওরা সবাই দারুণ বোলার। দক্ষিণ আফ্রিকাও পেস বোলিংয়ে দুর্দান্ত করেছে। এনরিখ নরকিয়া বেশ গতিতে বল করতে দেখেছি। ধারণা করছি, বাংলাদেশকে বেশ আগ্রাসনের মুখে পড়তে হবে।’- যোগ করেন ডোনাল্ড।
তবে সাবেক এই পেস বোলিং কোচ শেষ পর্যায়ে আবারও বাংলাদেশের পেসারদেরই প্রশংসা করে গেলেন অবলীলায়, ‘আমার মনে হয় যুক্তরাষ্ট্রে কাজটা কঠিন হবে। দেখে মনেই হচ্ছে, বেশ পরিশ্রম করতে হবে ব্যাটারদের। শেষ পর্যন্ত যারা স্নায়ুচাপ ধরে রাখতে পারবে, তাদের কাছেই ম্যাচের ফল যাবে। হোক সেটা ব্যাট হাতে কিংবা বল। বাংলাদেশের পেসারদের জন্য বেশ ভালো লাগছে। তারা দারুণ করেছে।’