বিলাসবহুল গাড়ি, উড়োজাহাজ, টেক্সটাইল, প্রসাধনীসহ বিভিন্ন খাতে বাংলাদেশের পাট ব্যবহার হচ্ছে বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুস শহীদ।
সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর পাট গবেষণা ইনস্টিটিউটে (বিজেআরআই) আয়োজিত ‘বাংলাদেশ পাট গবেষণা ইনস্টিটিউট এবং জেনোম গবেষণা কেন্দ্রের সাফল্য ও সম্ভাবনা’ বিষয়ক সেমিনারে এ তথ্য দেন তিনি।
এ সময় বিশ্ববাজারে বাংলাদেশ পাটজাত পণ্যের রফতানি বৃদ্ধি করতে পাট নিয়ে আরও গবেষণা করতে দেশের বিজ্ঞানীদের প্রতি আহ্বান জানান মন্ত্রী। তিনি বলেন, পাট গবেষণা ইনস্টিটিউট বাংলাদেশের বড় সম্পদ। পাট বাংলাদেশের লাভজনক পণ্য। এক সময় নারায়ণগঞ্জকে বলা হতো প্রাচ্যের ডান্ডি।
বাঙালি বিজ্ঞানীদের অত্যন্ত মেধাবী হিসেবে উল্লেখ করে কৃষিমন্ত্রী বলেন, বিজ্ঞানী ড. মাকসুদুল আলমের নেতৃত্বে পাটের জিন রহস্য বা জেনোম কোড উদ্ভাবিত হয়েছে। বর্তমানে বিশ্বজুড়ে পাটের চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে। পরিবেশবান্ধব হওয়ায় বাংলাদেশের পাট ব্যবহৃত হচ্ছে বিশ্বের বিলাসবহুল বিভিন্ন ব্রান্ডের গাড়ি, উড়োজাহাজ, টেক্সটাইল, প্রসাধনীসহ বিভিন্ন খাতে।
এ সময় পাটখড়ির ছাই বা চারকোলকে গুরুত্বপূর্ণ রফতানি পণ্য অভিহিত করে বাংলাদেশ থেকে চারকোল রফতানি এবং চারকোল থেকে বিভিন্ন পণ্যের উৎপাদনে গবেষণার ওপর গুরুত্ব দেন তিনি এবং জানান, বাংলাদেশে পাটের উৎপাদন ৩৩ লাখ বেল বৃদ্ধি পেয়েছে।
দেশের পাটশিল্পের উন্নয়নে পাট গবেষণা ইনস্টিটিউটের গুরুত্বপূর্ণ অবদানের কথা তুলে ধরে প্রতিষ্ঠানটির উত্তোরত্তর সমৃদ্ধি কামনা করে এর বিজ্ঞানী ও কর্মকর্তাদের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দেন মন্ত্রী। পাশাপাশি বিজ্ঞানীদের প্রতি পাটবীজে দেশকে স্বয়ংসম্পূর্ণ করার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, বর্তমানে পাটবীজের জন্য ভারতের ওপর নির্ভর করে থাকতে হয়। উন্নতমানের পাটবীজ উৎপাদন ও উদ্ভাবনে পাট গবেষণা ইনস্টিটিউটের বিজ্ঞানীদের কাজ করতে হবে।
সেমিনারে আরও উপস্থিত ছিলেন বিজেআরআইর মহাপরিচালক আব্দুল আউয়াল, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. শেখ মোহাম্মদ বখতিয়ার প্রমুখ।