দেশে তেলের উচ্চমূল্যের কারণে বাইকারদের মাইলেজ নিয়ে চিন্তা করতেই হয়। বিশেষ করে মধ্যবিত্ত পরিবারের যারা প্রতিদিনের প্রয়োজনে বাইক চালান তাদের জন্য ভালো মাইলেজ পাওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নিজের মোটরসাইকেলটি প্রতি লিটার তেলে কত কিলোমিটার চলছে এবং সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে কত কিলোমিটার চলা উচিত তা জানা থাকলে বাইকের স্বাস্থ্য ভালো আছে কিনা তাও চট করে বুঝে ফেলা যায়।
মাইলেজ মাপা নিয়ে আমাদের মধ্যে রয়েছে বেশ কিছু ভুল-ভ্রান্তি। তাই চলুন জেনে নেই মাইলেজ মাপার সঠিক উপায় বা পদ্ধতিগুলো। দুই পর্বের লেখায় সহজ তিনটি পদ্ধতিতে আমরা জানব বাইকের মাইলেজ পরিমাপ করার সঠিক উপায়।
মাইলেজ মাপার প্রথম উপায় হচ্ছে মেজারমেন্ট বোতল পদ্ধতি। যাদের কার্বুরেটর ইঞ্জিনের বাইক তারা সহজেই বোতল পদ্ধতিতে মাইলেজ পরীক্ষা করতে পারেন । বাজারে মাইলেজ পরিমাপের জন্য কনটেইনার বা পরিমাপক বোতল কিনতে পাওয়া যায়।অনলাইনেও এসব বোতল পাওয়া যায়। এগুলোর দাম ৩৫০-৪৫০ টাকার আশেপাশে।
প্রথমে বাইকের তেলের চাবি বন্ধ করুন এবং বাইক চালিয়ে কার্বোরেটরে জমে থাকা তেলটুকু শেষ করুন। এরপর মেজারমেন্ট বোতলে ১০০ বা ২০০ মিলিলিটার তেল নিয়ে বোতলের পাইপটি কার্বুরেটরের সঙ্গে যুক্ত করুন। এরপর মিটার জিরো করে বাইক চালাতে শুরু করুন।
১০০ বা ২০০ মিলিলিটার তেলে কত কিলোমিটার চললো সেটা হিসেব করলেই জেনে যাবেন আপনার বাইক কেমন মাইলেজ দিচ্ছে। ধরুন, ১০০ মিলিলিটার তেলে বাইক যদি ৫ কিলোমিটার চলে তাহলে ১০০০ মিলিলিটার তেলে চলবে ৫০ কিলোমিটার।
আমরা মেজারমেন্ট বোতল পদ্ধতি প্রয়োগ করে হোন্ডা এক্সব্লেড কার্বুরেটর ইঞ্জিনের বাইক থেকে প্রতি ১০০ মিলিলিটার তেলে মাইলেজ পেয়েছি ৫ দশমিক ৩ কিলোমিটার। সেই হিসাবে বাইকটির কাছ থেকে পাওয়া মাইলেজ হচ্ছে ৫৩ কিলোমিটার। এছাড়া সুজুকি জিক্সার কার্বুরেটর ভার্সন থেকে প্রতি ১০০ মিলিলিটার তেলে মাইলেজ পেয়েছি ৪ দশমিক ৮ কিলোমিটার। এবার আপনি হিসাব করুন, এখানে মাইলেজ কত ছিল?