আমাদের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য রক্ষার্থে ভ্রমণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। আর এই ভ্রমনের কথা এলেই পর্যটকদের পছন্দের তালিকায় প্রথম সারিতে থাকে পাহাড় ও সমুদ্র উপকূলীয় অঞ্চল। কিন্তু রূপ বৈচিত্র্যের বুননে আঁকা বাংলাদেশের প্রায় প্রতিটি জেলায় রয়েছে পর্যটকদের মনের খোরাক জোগানোর ইতিহাস-ঐতিহ্যসহ নানান উপাদান। রয়েছে ভাষার বৈচিত্র্যময় মিষ্টতা এবং স্ব স্ব জেলার ঐতিহ্যবাহী খাবার। আর প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন যেন প্রতিটি জেলার আনাচে কানাচে থরে থরে সাজানো রয়েছে। তেমনি একটি জেলা ময়মনসিংহ। আপনার হাতে একদিন সময় থাকলে ঘুরে আসতে পারেন ঐতিহ্যে ঠাসা ময়মনসিংহ জেলা।
তৎকালীন ভারতবর্ষের বৃহত্তম জেলা ময়মনসিংহকে পরিচয় করাতে প্রচলিত একটি প্রবাদ হলো- ‘হাওড়-জঙ্গল-মহিষের শিং, এই তিনে ময়মনসিং’। এ প্রবাদে এ জেলার সৌন্দর্যের বড় অংশ লুকিয়ে আছে। এছাড়া বিভিন্ন প্রাচীন স্থাপনা ময়মনসিংহকে করেছে আরও সমৃদ্ধ।
এসব স্থাপনার মধ্যে বেশ জনপ্রিয় হলো: শশী লজ, গৌরীপুর লজ, আলেকজান্ডার ক্যাসেল, শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন সংগ্রহশালা, স্বাধীনতা স্তম্ভ, ব্রহ্মপুত্র নদের তীরবর্তী পার্ক, ময়মনসিংহ জাদুঘর, বোটানিক্যাল গার্ডেন, নজরুল স্মৃতি কেন্দ্র, মুক্তাগাছা জমিদারবাড়ি, মহারাজ সূর্যকান্তের বাড়ি, গৌরীপুর রাজবাড়ি, বীরাঙ্গনা সখিনার মাজার, রামগোপাল জমিদারবাড়ি, ফুলবাড়িয়া অর্কিড বাগান, চীনা মাটির টিলা, আবদুল জব্বার স্মৃতি জাদুঘর, কুমিরের খামার, তেপান্তর ফিল্ম সিটি।
মূল ভ্রমণ পর্বে যাওয়ার আগে ছোট্ট দাওয়াত রইল, আপনি যদি মিষ্টান্ন প্রেমী হয়ে থাকেন; ময়মনসিংহ ভ্রমণে গেলে মুক্তাগাছার মণ্ডা খেয়ে আসবেন। তাতে আপনার মিষ্টিবিলাসি রুচিতে যোগ হবে নতুন এক স্বাদের মাত্রা। আর মিষ্টিপ্রেমী না হলেও অসুবিধা নেই, আপনাকেও বলব মণ্ডা না খেয়ে ফিরবেন না। কারণ আপনার মুখ কেনো বাদ যাবে শত বছরের ঐতিহ্যের স্বাদ থেকে। কিন্তু কীভাবে যাবেন সেখানে? সে বিষয়ে জানাচ্ছি একটু পরেই।
তবে চলুন এবার যাওয়া যাক ময়মনসিংহ ভ্রমণে-
শশীলজ
ময়মনসিংহ শহরের ব্রহ্মপুত্র ব্রিজ বাস স্ট্যান্ড এলাকা থেকে শশীলজে যেতে পারবেন। আপনার পছন্দ ও সুবিধা অনুযায়ী রিকশা বা অটোরিকশা যে কোনোটায় চড়তে পারেন। তবে স্থানীয়রা শশীলজকে রাজবাড়ি বলে চিনে। তাই চালকের সঙ্গে সেভাবেই কথা বলে ভাড়া ঠিক করে শুরু করতে পারেন আপনার যাত্রা। যাত্রার ১০-১৫ মিনিটের মাথায় পৌঁছে যাবেন ময়মনসিংহ রাজবাড়ি তথা শশীলজে।
বাহন থেকে নামলেই আপনাকে স্বাগত জানাবে শশীলজের প্রধান ফটক। সে সৌন্দর্য দেখে আপনি অতিক্রম করবেন প্রধান ফটক। ভেতরে প্রবেশ করতেই মূল ভবনের সামনে চোখে পড়বে চমৎকার বাগান। যেখানে নানান বাহারি গাছ ও ফুলের সমাহার আপনার ভ্রমণ ক্লান্তিকে মুছে দিবে। আর আপনার সামনে হাজির করবে বাগানের মাঝখানে শ্বেতপাথরের ফোয়ারার গ্রিক দেবী ভেনাসের পাথরের মূর্তি। গ্রিক দেবী ভেনাসের মূর্তি যেকোনো পর্যটককে বিস্মিত করবে। কী করে পাথর কেটে এমন শিল্পকর্ম তৈরি হয়েছে, সে ভাবনায় ঘুরপাক খাওয়া খুব স্বাভাবিক ঠেকবে পর্যটকদের কাছে।
শশীলজ নিয়ে ইতিহাস কী বলে জানুন
বাংলার বিখ্যাত মহারাজা শশীকান্ত আচার্যের পরিবার বাংলা বিহার উড়িষ্যার নবাব মুর্শিদকুলি খাঁয়ের আমলে প্রথম জমিদারি লাভ করেন এবং তারা মুক্তাগাছাকে কেন্দ্র করে জমিদারি পরিচালনা করতে থাকেন। ক্রমান্বয়ে আঠারশ শতকে মহারাজা মুক্তাগাছার বাইরে বর্তমান টিচার্স ট্রেনিং কলেজের স্থলে রাজবাড়ি তৈরি করেন, যা স্থাপত্যশৈলীর অনন্য নিদর্শন হিসেবে এখনও মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে রয়েছে। ময়মনসিংহ শহরে অবস্থিত এ রাজবাড়ির প্রতিটি ইঞ্চিতে ছড়িয়ে রয়েছে ইতিহাস।
মহারাজা সূর্যকান্ত আচার্য, তিনিই নাম দিয়েছিলেন শশীলজ। আর এ শশীলজ এবং তার সম্মুখে গ্রীক সৌন্দর্যের দেবী ভেনাসের ভাস্কর্যটি ময়মনসিংহ জেলার আইকনিক প্রতিনিধি হয়ে দাঁড়িয়েছে। ৯ একর জমির ওপর অনেক সবুজের সমারোহে অতীত ঐতিহ্য ধারণ করে শশীলজ মহাকালের সাক্ষীরূপে অম্লান হয়ে আছে। এর ছায়াঘেরা হৃদয় স্পর্শ করা শীতল পরিবেশ, ভবনের সুদৃশ্য আকর্ষণীয় শিল্পমণ্ডিত কারুকার্য কড়ই, অশোক, দেবদারু, কাঠগোপাল, অর্জুন, কর্পূরের বিশালত্ব ও প্রাচীনত্ব দর্শক ও পর্যটকদের নিয়ে যায় ইতিহাসের সেই সুবর্ণ সময়ে যখন এটি নির্মিত হয়েছিল।
ভবনের পেছনে অবস্থিত ‘জলঘর’ খ্যাত দোতলা পুকুর ঘাট। এই ভাস্করের পরিচয় জানা যায়নি। তেমনি জানা যায়নি মার্বেল পাথরে আচ্ছাদিত বহুভূজাকৃতি দুই ঘাট বিশিষ্ট পেছনের পুকুরের ইতিহাসও। তাতে কী! ইতিহাস না জানলেও আপনাকে মুহূর্তেই আপনার নাকে মুখে প্রাচীন বাতাসের ছোঁয়া দিয়ে যাবে। সে আনন্দ একজন প্রত্নতাত্ত্বিক পর্যটকের কাছে কম কীসে!
তবে জানা গেছে এমন একটি নিদর্শনের কথা বলতে পারি, রাজবাড়ির প্রতিপত্তির সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে থাকা পুকুরের পশ্চিম পাশের সবচে প্রাচীন গাছ নাগালিঙ্গমের কথা, যার ফল সে সময়ে হাতির খাবার হিসেবে ব্যবহৃত হতো। আপনার ভাগ্য ভালো থাকলে নাগালিঙ্গম ফুলের সঙ্গে দেখা হয়ে যেতে পারে। এ ফুলের গঠনগত সৌন্দর্য আপনার মনে আলোর ঝলকানি বইয়ে দিবে।
শশীলজের স্থাপত্যকীর্তি যুগ যুগ ধরে আকর্ষণ করছে এবং করবে অসংখ্য পর্যটক ও সৌন্দর্য পিপাসুদের দৃষ্টিকে। প্রতিষ্ঠাতা শশীকান্তের স্মৃতিও উজ্জ্বল হয়ে থাকবে শশীলজের আঙ্গিনায় অনন্তকাল। মহারাজা সূর্যকান্ত তার দত্তক পুত্র শশীকান্তের নামে অনেক যত্নে নির্মাণ করেছিলেন এ প্রাসাদ। সিঁড়ি বেয়ে উঠলেই এক বিশেষ ধরণের সঙ্গীতের সুর বেজে উঠত। আজ হয়ত আপনার কান অনুভব করবে সে প্রত্নতাত্ত্বিক সুর। এ জমিদারির প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন শ্রীকৃষ্ণ আচার্য। শশীকান্ত এই জমিদার পরিবারেরই শেষ উত্তরাধিকার।
মূল ভবনের দোতলা স্নানঘর, পুকুর ও মার্বেল পাথরে নির্মিত ঘাট। ২০১৫ সালে ৪ এপ্রিল জাদুঘর স্থাপনের জন্য বাংলাদেশ সরকারের প্রত্নতত্ত্ব অধিদফতর শশী লজটি অধিগ্রহণ করে।
আলেকজান্ডার ক্যাসেল
শশীলজের কাছাকাছি আরও এক দর্শনীয় স্থান আলেকজান্ডার ক্যাসেল। টিচার্স ট্রেনিং কলেজের গ্রন্থাগার হিসেবে ব্যবহৃত আলেকজান্ডার ক্যাসেলে পায়ে হেঁটে পৌঁছাতে মিনিট দশেক সময় লাগে। এটুকু পথ বাহনে না চড়ে পায়ে হেঁটে যাওয়ার পরামর্শ থাকলো। কারণ, কথায় আছে, ভ্রমণের গতি যত কম, ভ্রমণ ততবেশি আনন্দের।
আলেকজান্ডার ক্যাসেলও শশীলজের মতো ভিন্ন আরেক নাম অর্থাৎ ‘লোহার কুঠি’ হিসেবে প্রসিদ্ধ। তো এ আলেকজান্ডার ক্যাসেলে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, মহাত্মা গান্ধী, নবাব সলিমুল্লাহ, দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাস, লর্ড কার্জনসহ বরেণ্য ব্যক্তিরা অতিথি হিসেবে রাত কাটিয়েছেন বলে জানা যায়। তো এবার আপনার পালা এ ক্যাসেলে পা রাখার। আর হারিয়ে যাওয়া সে অতীতে, যেখানে আমাদের দেহ না যেতে পারলেও মন চলে যায় ঠিকই।
ক্যাসলের পেছনে আছে দুটি অশ্বথ গাছ। সে গাছ দুটির ছায়ায়ও রয়েছে ইতিহাস। জানা যায়, এই ক্যাসলে অবস্থানকালে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর অশ্বথ গাছের ছায়ায় বসে সময় কাটাতেন। এখানেই শেষ নয়। আপনি ভ্রমণ পিপাসুর পাশাপাশি যদি বইকে আগলে রাখা মানুষ হন তবে এ ক্যাসেল আপনাকে বইয়ের রাজ্যে স্বাগতম জানাতে অপেক্ষা করছে। বর্তমানে আলেকজান্ডার ক্যাসলের ৮টি ঘরে প্রায় ১৫ হাজার বই রাখা আছে। আপনাকে বইয়ের পাতায় স্বাগতম, যে বই ইতিহাস-ঐতিহ্যে ঘরদোরে পৌঁছে যাওয়ার সাঁকো।
ইতিহাস-বর্তমানে যাতায়াত করতে করতে নিশ্চয় আপনার খিদে পেয়ে গেছে। তাহলে চলুন আলেকজান্ডার ক্যাসলকে এবারের মতো বিদায় জানাই। এখন থেকে বেরিয়ে চলে যেতে পারেন থানা ঘাটে। সেখানে সুলভ মূল্যে দেশি খাবারের হোটেল পাওয়া যায়।
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়
ময়মনসিংহ শহর থেকে মাত্র ৪ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়। বিশাল ক্যাম্পাসে হারিয়ে যাওয়া যেন খুব সহজ। কিন্তু এখনই হারিয়ে গেলে তো চলবে না। ময়মনসিংহের আরও কত কি আপনার অপেক্ষায়। তাই প্রায় ১২০০ একরের এ বিশ্ববিদ্যালয়ের উল্লেখযোগ্য কিছু জায়গায় ঘুরতে পারেন। কেননা কারও পক্ষেই একদিনের মধ্যে পুরো বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা ঘুরে দেখা সম্ভব নয়। চলুন শুরু করা যাক।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ফুলের বাগান দিয়ে শুরু হোক এ যাত্রার ভ্রমণ। সেখান থেকে বৈশাখী চত্বর, লিচু ও আম বাগান, সবুজ মাঠ, লেক, ফিস মিউজিয়াম, কৃষি মিউজিয়াম, সেন্ট্রাল মসজিদ, বিভিন্ন ফসলের ক্ষেত, মাছ চাষের পুকুর, গবাদি পশুর খামার, নান্দনিক সড়ক, বিশ্ববিদ্যালয় রেলওয়ে স্টেশন ও বিভিন্ন দর্শনীয় ভাস্কর্য ঘুরে দেখতে পারেন। এতে কম সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উল্লেখযোগ্য জায়গাগুলোতে চোখ বোলানো যাবে। তবে এটুকু দেখে পুরো ক্যাম্পাস ঘুরে দেখার ইচ্ছে জাগলে হাতে সময় নিয়ে পরে কখনো ভ্রমণ করতে পারেন।
জয়নুল আবেদিন পার্ক
নদীর তীরের চমৎকার পরিবেশে অবস্থিত জয়নুল আবেদিন পার্ক। বিনোদনের জন্য এই পার্কে আছে ফোয়ারা, দোলনা, ট্রেন, ম্যাজিক নৌকা, মিনি চিড়িয়াখানা, বৈশাখী মঞ্চ, ঘোড়ার গাড়ি, চরকি ও বিভিন্ন খাবারের দোকান। দীর্ঘ সময় প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন ও ঐতিহ্য দেখে এবার যান্ত্রিক বিনোদন কেন্দ্র উপভোগ করা যেতে পারে।
তবে যারা নদীর বুকে ভাসতে চান, তাদের জন্য সারি সারি নৌকার ব্যবস্থাও আছে। এই পার্কের অন্য প্রান্তে আছে শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন সংগ্রহশালা। ২০ টাকার টিকিট কেটে সংগ্রহশালাটি ঘুরে দেখতে পারেন।
মুক্তাগাছা জমিদার বাড়ি
ময়মনসিংহের টাউন হলের সামনে থেকে লোকালে বা সিএনজি রিজার্ভ নিয়ে আপনার গন্তব্য হবে মুক্তাগাছার দিকে। ৪০-৫০ মিনিট ভ্রমণের পর আপনি মুক্তাগাছায় পৌঁছে যাবেন। সেখানে নেমে রিকশায় করে কিংবা সামান্য হাঁটলেই পৌঁছে যাবেন মুক্তাগাছা জমিদার বাড়িতে। জমিদার বাড়ির সামনেই আছে ১৫০ বছরের ঐতিহ্যবাহী গোপাল পালের মণ্ডার দোকান।
ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা মণ্ডার পাশাপাশি জমিদার বাড়িটি সবার কাছে পরিচিত। তবে এটি মুক্তাগাছা রাজবাড়ি নামে বেশ পরিচিত। ময়মনসিংহ শহর থেকে এই জমিদার বাড়ির দূরত্ব ১৭ কিলোমিটার। সেখান থেকে আপনার পরে গন্তব্য হতে পারে মুক্তাগাছার মণ্ডার দোকান। শত বছরের এ মিষ্টান্নের স্বাদ নেয়ার আবেদন জানিয়ে ময়মনসিংহ ভ্রমণের যাত্রা শুরু করেছিলাম।
ফেরার পথে মুক্তাগাছা থেকে লেগুনা, সিএনজি কিংবা বাস দিয়ে পুনরায় ময়মনসিংহ শহরে যেতে হবে। ময়মনসিংহের মাসকান্দা বাস স্ট্যান্ড থেকে এনা, শৌখিন, শামীম পরিবহন, আলম এশিয়া, শ্যামলী বাংলা অথবা ইমাম পরিবহণের বাসে করে ২-৩ ঘণ্টার মধ্যেই ঢাকায় ফিরতে পারবেন।
ময়মনসিংহ যাওয়ার উপায়
শুরুতে যাতায়াতের উপায় না বললেও এবার ঢাকা থেকে ময়মনসিংহ যাওয়ার কম খরচের সহজ কয়েকটি উপায় জানাবো। ঢাকার মহাখালী থেকে ময়মনসিংহ রুটে এনা, শৌখিন, শামীম পরিবহন, আলম এশিয়া, শ্যামলী বাংলা এবং ইমাম পরিবহনের বাস চলাচল করে। আড়াই থেকে তিন ঘণ্টায় ময়মনসিংহ জেলা শহরে পৌঁছাতে পারবেন। ঢাকা থেকে ছেড়ে যাওয়া ময়মনসিংহগামী বাসগুলো মাসকান্দা বাস স্ট্যান্ড গিয়ে থামে।
এছাড়া ঢাকা থেকে ট্রেনে চড়ে ময়মনসিংহ যেতে চাইলে কমলাপুর কিংবা বিমানবন্দর রেলওয়ে স্টেশন হতে সকাল ৭টা ২০ মিনিটে তিস্তা এক্সপ্রেস ট্রেনে যাত্রা করলে সকাল ১১টার আগেই ময়মনসিংহে পৌঁছাতে পারবেন। শ্রেণিভেদে জনপ্রতি ট্রেনের টিকিটের মূল্য ১৪০ থেকে ২৫০ টাকা।
অন্যান্য জেলা থেকে ময়মনসিংহ যেতে চাইলে আপনার সুবিধামত যানবাহনে চড়ে সকালের ভেতর ময়মনসিংহ শহরে চলে আসতে পারেন। তাতে বিকেল পর্যন্ত ময়মনসিংহ চষে বেড়িয়ে বিখ্যাত মণ্ডার স্বাদ নিয়ে ফিরতে পারবেন।