উইন্ডোজ ১০ সংক্রান্ত সব ধরনের সেবা বন্ধ করে দিচ্ছে মাইক্রোসফট। ইতোমধ্যে তারিখও ঘোষণা করে দেওয়া হয়েছে। ২০২৫ সালের ১০ অক্টোবর। এর বদলে আসবে নিউ জেনারেশন উইন্ডোজ। তাহলে ক্রোম আর ব্যবহার করা যাবে না? আপাতত যাবে।
গুগলের পেরেন্ট কোম্পানি অ্যালফাবেট জানিয়েছে, ক্রোমের অটো আপডেটিং ভার্সন ইনস্টল করতে পারবেন ইউজাররা। কোম্পানি জানিয়েছে, ক্রোম ওএস ফ্লেক্স-এ নিয়মিত সিকিউরিটি আপডেট, ডেটা এনক্রিপশনের মতো ফিচার থাকবে। ফলে আপাতত ইউজাররা উইন্ডোজ ১০ সিস্টেম ব্যবহার চালিয়ে যেতে পারবেন।
কিন্তু ২০২৫ সালের ১৪ অক্টোবর থেকে আর উইন্ডোজের এই ভার্সনটি সাপোর্ট করবে না মাইক্রোসফট। সিকিউরিটি আপডেট, বাগ ফিক্স বা অন্যান্য প্রযুক্তিগত সহায়তা প্রদানও বন্ধ করে দেওয়া হবে। ইউজারদের তাই উইন্ডোজ ১১ অপারেটিং সিস্টেম বা অন্য বিকল্প ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছে মাইক্রোসফট।
অবশ্য নির্ধারিত সময়ের পরেও ইউজার চাইলে উইন্ডোজ ১০ ব্যবহার করতে পারবেন। তবে কোনও সিকিউরিটি আপডেট মিলবে না। ফলে সিস্টেমের নিরাপত্তা প্রশ্নের মুখে পড়তে পারে।
ক্যানালিসিস রিসার্চের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, উইন্ডোজ ১০-এর সমাপ্তিতে প্রায় ২৪০ মিলিয়ন কম্পিউটার ল্যান্ডফিলে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে। কারণ সিকিউরিটি আপডেট ছাড়া ডিভাইসের চাহিদা কম হতে পারে। তবে ওএস সাপোর্ট শেষ হওয়ার পরেও কয়েক বছর উইন্ডোজ ১০ সম্বলিত কম্পিউটার ব্যবহার করা যাবে।
অন্যান্য অপারেটিং সিস্টেমের তুলনায় ক্রোম ওএস-এর জনপ্রিয়তা অনেক কম। চলতি বছরের জানুয়ারিতে গবেষণা সংস্থা স্টেটকাউন্টারের রিপোর্ট অনুযায়ী, সারা বিশ্বের ডেস্কটপ ওএস বাজারের ১.৮ শতাংশ শেয়ার রয়েছে এদের দখলে। উইন্ডোজের প্রায় ৭৩ শতাংশ শেয়ারের তুলনায় অনেক পিছিয়ে এটি। ব্যক্তিগত হোক বা ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে উইন্ডোজের তুলনায় ক্রোম ওএস-এর ব্যবহার কম। লিগ্যাসি উইন্ডোজ এবং প্রোডাক্টিভিটি অ্যাপ্লিকেশন এর প্রধান কারণ। যদিও গুগল বলেছে, ক্রোম ওএস লিগ্যাসি উইন্ডোজ এবং প্রোডাক্টিভিটি অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহারের অনুমতি দেবে, যা ডেটা সেন্টার অ্যাপগুলো ডিভাইসে চালাতে সাহায্য করবে।