প্রায় সব ইউরোপীয় প্রতিযোগিতার ক্লাব ফুটবলের মৌসুম শেষের দিকে। এবার ফুটবলাররা ব্যস্ত হয়ে পড়বেন দুটি আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা ইউরো ও কোপা আমেরিকায়। তার আগে ইন্টার মায়ামির হয়ে ম্যাচ খেলে ক্লাব ফুটবল থেকে বিরতিতে যাচ্ছেন লিওনেল মেসিরা। এদিন অবশ্য একটি গোলে রেকর্ডও গড়েছেন এই আর্জেন্টাইন মহাতারকা। যদিও মায়ামিকে শেষ পর্যন্ত সেইন্ট লুইস সিটির সঙ্গে ৩–৩ গোলে ড্র নিয়ে ফিরতে হয়েছে।
আজ (রোববার) ভোরে ফ্লোরিডার চেজ স্টেডিয়ামে মেজর লিগ সকারের (এমএলএস) ম্যাচে নেমেছিলেন মেসি–সুয়ারেজরা। পূর্ণ পয়েন্ট পাওয়ার লড়াইয়ে তারা দুই দফাতেই পিছিয়ে পড়ে কামব্যাক করেন। তবে লুইস সুয়ারেজের আত্মঘাতী গোলের কারণে আর জয় পাওয়া হয়নি। যদিও উরুগুইয়ান তারকা নিজের দলের হয়েও একটি গোল করেছেন, মায়ামির বাকি দুটি গোল আসে মেসি ও জর্দি আলবার পা থেকে।
এদিন ম্যাচজুড়ে মায়ামির গোলাপি শিবির দাপট দেখালেও, তাদের বিপক্ষে দু’বারই লিড নিয়েছিল সেন্ট লুইস। শেষবার সুয়ারেজের কল্যাণে আসে তৃতীয় লিডও। তবে মায়ামি হার এড়িয়েছে আলবার ফিনিশিং টাচে। এর আগে ম্যাচের পঞ্চদশ মিনিটেই ক্রিস ডার্কিনের গোলে পিছিয়ে পড়ে মায়ামি। ২৫ মিনিটে মায়ামির পক্ষে সমতা টানা গোলটি করেন মেসি। গোল ও অ্যাসিস্ট দুটিই ছিল দেখার মতো, আলবার বাড়ানো পাস ধরে বক্সের ভেতর থেকে জোরালো শটে আর্জেন্টাইন অধিনায়ক গোলটি করেন। যা চলতি মৌসুমে মেসির ২৫তম গোল, আমেরিকান প্রতিযোগিতায় এটি সবচেয়ে দ্রুততম। এর আগে ২০১৬ সালে ১৬ ম্যাচে একই সংখ্যক গোল করেছিলেন কার্লোস ভেলা, মেসি সেই রেকর্ড ভাঙলেন ১২ ম্যাচে।
এরপর ৪১ মিনিটে আবারও পিছিয়ে পড়ে মায়ামি। তবে বিরতির আগেই সেই গোল শোধ করেন সুয়ারেজ। ম্যাচজুড়ে সাবেক তিন বার্সেলোনা তারকাই মূলত মায়ামিকে পথ দেখিয়েছেন। যদিও উরুগুইয়ান ফরোয়ার্ড ৬৮তম মিনিটে আত্মঘাতী গোল করে দলকে প্রায় হারিয়েই দিয়েছিলেন। সেই দফায় আর হারটা আসেনি আলবার কল্যাণে। শেষমেষ পয়েন্ট ভাগাভাগি করেই মায়ামি মাঠ ছাড়ে।
এই জয়ে এমএলএসে ইস্টার্ন কনফারেন্সের পয়েন্ট টেবিলে শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে টাটা মার্টিনোর পিঙ্ক শিবির। যদিও তাদের পিছিয়ে পড়ার যথেষ্ট সুযোগ আছে। ১৮ ম্যাচে ১০ জয় পাওয়া মায়ামির পয়েন্ট ৩৫। তাদের চেয়ে দুই ম্যাচ কম খেলেই দুইয়ে থাকা সিনসিনাতির পয়েন্ট ৩৩।
আজই কোপা আমেরিকার জন্য মায়ামি ছাড়ার কথা রয়েছে মেসির। যদিও তাকে আমেরিকা ছেড়ে যেতে হচ্ছে না, কোপা আমেরিকার আসরও যে ২০ জুন থেকে একই মাটিতে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। অবশ্য এর আগেই কোপার প্রস্তুতি হিসেবে দুটি প্রীতি ম্যাচ খেলবে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা। ৯ জুন শিকাগোর সোলজার ফিল্ড স্টেডিয়ামে ইকুয়েডর এবং ১৪ জুন গুয়েতেমালার বিপক্ষে ওয়াশিংটন ডিসিতে মাঠে নামবেন লিওনেল স্কালোনির শিষ্যরা।