নাম রোয়ান অ্যাটকিনসন। কিন্তু মানুষ তাকে চেনে মিস্টার বিন। তিনি পড়াশোনা করেছেন অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে। অক্সফোর্ডের কুইন্স কলেজে ইলেকট্রিকাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে করেন স্নাতকোত্তর। কলেজে পড়ার সময় থেকেই অভিনয়ের প্রতি আকর্ষণ অনুভব করেছিলেন রোয়ান। ভাষা নিয়ে ছিল তার প্রবল সমস্যা। তাই তিনি বেছে নিয়েছিলেন নির্বাক অভিনয়। তার নাম মিস্টার বিন বলে জানে না এমন মানুষ মনে হয় গ্রহে খুঁজে পাওয়া যাবে না।
তিনি নাকি ছোটবেলা থেকেই কথা বলতে পছন্দ করতেন না। অথচ ভালোবাসতেন অভিনয়! পছন্দ করতেন কমেডি ছবি। এই ব্রিটিশ অভিনেতা যে একসময় কিংবদন্তি হয়ে উঠবেন বিনোদন দুনিয়ায়, তা বোধহয় তিনি নিজেও জানতেন না। ছোটপর্দায় জন্য শ্যুটিং করেছিলেন মাত্র ১৪টা এপিসোড… আর সেগুলোই বছরের পর বছর ধরে রসদ জুগিয়েছে হাসার। হয়ত বাঁচারও। বছরের পর বছর ধরে যদি হাসি ফুটিয়ে এসেছেন আট থেকে আশির মুখে, অনায়াসে পেরিয়ে এসেছেন যাবতীয় ভাষা-সমস্যা।
কলেজে পড়ার সময় থেকেই অভিনয়ের প্রতি আকর্ষণ অনুভব করেছিলেন রোয়ান। তার ডাক নাম ছিল রো। তবে ভাষা সমস্যা ছিল তার। একে তো তিনি কথা বলতে পছন্দ করতেন না একেবারেই। দ্বিতীয়ত, একাধিক ভাষা জানতেন না মিস্টার বিন। সেই কারণেই প্রথমবার অভিনয় করার সময় তিনি বেছে নিয়েছিলেন সাইলেন্ট কমেডি বা নির্বাক কমেডি। একদিকে কথা বলতে পছন্দ না করা, অন্যদিকে ভাষা সমস্যা… এই দুয়ে মিলেই রো সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তিনি নির্বাক কমেডি দর্শকদের উপহার দিতে চান। বাকিটা বলবে সময়। দর্শকদের পছন্দ হলে শো চলবে, না হলে রো ফিরে যাবেন নিজের কাজে। তবে মাত্র ১৪টা এপিসোড যে এতটা জনপ্রিয়তা দেবে তাকে। তা জানতেন না স্বয়ং রোয়ান অ্যাটকিনসনও।
একসময় ছোটপর্দা দেখারও সুযোগ পেতেন না রোয়ান অ্যাটকিনসন। স্কুলে দেখা চার্লি চ্যাপলিন বা এমন অভিনেতাদের অভিনয় নকল করতেন তিনি। মিস্টার বিনের ১৪টা এপিসোড এখনও পর্যন্ত ২০০টারও বেশি দেশে দেখানো হয়েছে। যেহেতু মিস্টার বিনে ভাষা নয়, মূলত প্রাধান্য পায় শারীরিক কমেডি, তাই বিভিন্ন ভাষায় অনুবাদ করারও প্রয়োজন হয়নি। মিস্টার বিন শুরু করার আগে কথা হয়েছিল, এই চরিত্রের নাম দেওয়া হবে কোনও একটি সবজির নাম অনুযায়ী। তবে শেষমেষ নাম হয় মিস্টার বিন।
মাত্র ৫ হাজার টাকায় পাচ্ছেন রেডমির দুর্দান্ত ফিচারের স্মার্টফোন
ছোটপর্দার জন্য মাত্র ১৪টা এপিসোড হলেও, জনপ্রিয়তাকে মাথায় রেখে মিস্টার বিনকে নিয়ে বড়পর্দাতেও তৈরি হয়েছে ছবি। তা বেশ জনপ্রিয়তাও পেয়েছে। অভিনয়ের পাশাপাশি, একাধিক বই লিখেছেন রোয়ান অ্যাটকিনসন, করেছেন পরিচালনাও। অভিনেতা রোয়ান অ্যাটকিনসনের স্ত্রী ও সন্তান রয়েছে। সবাইকে নিয়ে সুখেই আছেন তিনি।