মোবাইল ফোনে থাকা ফ্লাইট মোড প্লেনে থাকার সময় সবচেয়ে কার্যকরী। প্লেনে উঠার পরে ফোনটিকে ফ্লাইট মোডে রাখতে বলা হয়। এটিই বেশিরভাগ মানুষ ব্যবহার করতে জানেন। তবে ফ্লাইট মোডটি শুধু প্লেনেই কাজে লাগে না— এটি আরও কয়েকটি চমৎকার কাজেও লাগে।
ফ্লাইট মোডের কাজ: ফ্লাইট মোড সাময়িকভাবে ফোন বা ল্যাপটপের ডেটা ট্রান্সমিটার এবং রিসিভারের সিগন্যালগুলিকে নিষ্ক্রিয় করে দেয়। অর্থাৎ ডিভাইসে কোনো ডেটা পাঠানো বা গ্রহণ করা যায় না। ফলে ব্যবহারকারী কোনো কল করতে, টেক্সট মেসেজ করতে বা মেইল পাঠাতেও পারবেন না। তবে এয়ারপ্লেন বা ফ্লাইট মোডে থাকা ডিভাইস ব্লুটুথ বা ওয়াই-ফাই সংযোগ করতে দেয়।
আর কি কি কাজে লাগে ফ্লাইট মোড?
দ্রুত চার্জ হয়: ফোন চার্জ করতে অসুবিধা হলে বা অনেক বেশি সময় নিলে ফ্লাইট মোডে রেখে চার্জ করলে তা দ্রুত হবে।
ব্যক্তিগত সময়ে: ফ্লাইট মোডে ফোন রাখলে অবাঞ্চিত কল থেকে রেহাই পাওয়া যায়, ব্যক্তিগত সময়ে এই মোড অন রাখা যায়। অবাঞ্ছিত নোটিফিকেশন বন্ধ থাকে। তবে অ্যালার্ম বাজবে।
নেটওয়ার্ক রিসেট করতে: ফ্লাইট মোড একটি ডিভাইসে ওয়াইফাই, সেলুলার, ব্লুটুথ এবং অন্যান্য ওয়্যারলেস যোগাযোগ অক্ষম করে। ফ্লাইট মোড চালু এবং বন্ধ করা সিগন্যালের সমস্যা সমাধান করতে সাহায্য করতে পারে।
জরুরি পরিস্থিতিতে: জরুরি পরিস্থিতিতে ব্যাটারি খুবই প্রয়োজনীয়। এমন পরিস্থিতিতে ফ্লাইট মোড ব্যাটারির আয়ু বাড়াতে সাহায্য করতে পারে। এটি জরুরি পরিস্থিতিতে কল করা বা যে কোনো অ্যাপ ব্যবহার করার জন্য ফোনের ব্যাটারি বাঁচাবে।
ব্যাটারি সংরক্ষণ করতে: কেউ যখন দুর্বল সেলুলার কভারেজ এলাকায় থাকেন, তখন তার ফোন নেটওয়ার্কের জন্য সার্চ করে, যা ফোনের ব্যাটারি দ্রুত নিষ্কাশন করতে পারে। ফ্লাইট মোড এই সার্চ বন্ধ করে, যা ব্যাটারির জীবন বাঁচায়। অর্থাৎ ফোনের ব্যাটারির চার্জ সেভ করার সঙ্গে সঙ্গে ফোনের ব্যাটারি ভালো রাখতেও সাহায্য করে।
ফ্লাইট মোড চালু করার পদ্ধতি: প্রথমে নোটিফিকেশন বার নিচে নামিয়ে আনতে হবে। যেখানে ওয়াইফাই, টর্চ, হটস্পট, এয়ারপ্লেন মোড বা ফ্লাইট মোড-এর বিভিন্ন শর্টকাট দেখা যায়। ওই নোটিফিকেশন বারেই একটি বিমানের আইকন পাওয়া যাবে, তাতে ট্যাপ করলেই ফ্লাইট মোড চালু হয়ে যাবে। নেটওয়ার্ক ইন্ডিকেটর বন্ধ হয়ে একটি বিমানের চিহ্ন দেখা যাবে।