বিবাহ এমন এক বন্ধন যা মানুষের জীবনকে একত্রিত করে। আপনার সঙ্গী মনের মত হলে জীবন হবে সুখময়। অন্যদিকে, মনের মিল না থাকলে সেই সম্পর্ক ভেঙ্গেও যেতে পারে। তবে এই জীবনকে সুখময় করে তোলার কিছু উপায় রয়েছে।
খোলামেলা এবং সৎ যোগাযোগ
সঙ্গীর যাথে খোলামেলা ভাবে কথা বলুন। একটি সুন্দর ও সুস্থ যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তুলুন। এমন একটি পরিবেশ গড়ে তুলুন যেখানে দুইজনই সমালোচনার ভয় ছাড়া চিন্তাভাবনা, অনুভূতি এবং উদ্বেগ প্রকাশ করতে পারেন। সঙ্গীর সাথে একটি শক্তিশালী সংবেদনশীল সংযোগ তৈরি করুন। তার প্রতি আগ্রহ দেখান। সঙ্গীর কথা মনোযোগ সহকারে শুনুন। যেকোনো সময় তাকে সাহায্য করুন।
মানসম্পন্ন সময়কে অগ্রাধিকার দিন
বিয়ের পরও সঙ্গীকে নিয়ে মাঝে মাঝে ডেটে যান। সে যেসব কাজ করতে উপভোগ করে সেগুলো করুন। ‘কোয়ালিটি টাইম’ বন্ধনকে শক্তিশালী করে। ঘনিষ্ঠতার অনুভূতি বজায় রাখতে সহায়তা করে। একটি সম্পর্ককে আকর্ষণীয় রাখার জন্য দম্পতি হিসেবে নতুন নতুন অভিজ্ঞতা নিন। সময় পেলে নতুন জায়গাতে ঘুরতে যান। ছুটির দিনে কোনো রেস্তোরায় খাবার খান। একসাথে সিনেমা দেখুন। মানসম্মত সময় কাটাতে চেষ্টা করুন।
আস্থা ও আনুগত্য গড়ে তুলুন
বিশ্বাস একটি সুস্থ সম্পর্কের ভিত্তি। নির্ভরযোগ্য হোন।সঙ্গীর প্রতি আপনার প্রতিশ্রুতি রক্ষা করুন। আনুগত্য থাকুন। এটি একটি সুরক্ষিত এবং প্রতিশ্রুতিবদ্ধ অংশীদারিত্বে অবদান রাখে। নিজেকে কথা দিন যে, আপনি আপনার সঙ্গী ছাড়া বাইরে কোনো অনুপযুক্ত সম্পর্কে লিপ্ত হবেন না।
শারীরিক অন্তরঙ্গতা বজায় রাখুন
বিবাহিত জীবনে পরিপূর্ণ এবং সন্তোষজনক শারীরিক সম্পর্ক বজায় রাখা অপরিহার্য। একে অপরের প্রয়োজনের প্রতি মনোযোগী হন। আপনার আকাঙ্ক্ষাগুলো খোলাখুলি ভাবে আলোচনা করুন। শারীরিক সম্পর্কটি দুইজনের একান্ত ব্যক্তিগত বিষয়। তাই এ ব্যাপারে বাইরে কারও সাথে আলাপ না করে সঙ্গীর সাথেই করুন।
https://bangla-bnb.saturnwp.link/ghorei-baniye-nin-soaf/
প্রচেষ্টা এবং সময়
সম্পর্কে সমস্যা থাকবেই। তাই বলে হাল ছেড়ে দেবেন না। তা সমাধানের জন্য প্রচেষ্টা এবং সময় প্রয়োজন। সঙ্গীর সাথে সম্পর্কের সমস্যাগুলো নিয়ে কথা বলুন। দুইজন মিলে সমাধান করুন। অমীমাংসিত দ্বন্দ্বগুলো দীর্ঘায়িত হতে দেবেন না। দম্পতিদের এমন পরিস্থিতি এড়ানো উচিত যা, একে অপরের প্রতি প্রতিশ্রুতিকে নষ্ট করে। আপনার সম্পর্কের মূল্যায়ন করুন।