শোবিজে দীর্ঘকাল ধরে একটি ট্রেন্ড চলছে—লাভ সিন বা হট মোমেন্টস অথবা নু.ড মোমেন্টস। অনেকে এই চ্যাপ্টার থেকে দূরে থাকলেও, বেশিরভাগ অভিনেত্রীই এই ট্রেন্ডে গা ভাসিয়েছেন। বিশেষ করে, হলিউড পেরিয়ে সাহসী দৃশ্য পর্দায় ফুটিয়ে তুলতে ধীরে ধীরে অভ্যস্ত হয়েছেন বলিউডের অভিনেত্রীরাও।
ইদানিং অবশ্য টলিউডও পিছিয়ে নেই। স্বস্তিকা, পাওলির, ঋ সেনের মতো বাঙালি অভিনেত্রীরা চরিত্রের প্রয়োজনে পর্দার সামনে নিজেদের মেলে ধরতে দ্বিধাবোধ করেন না। জেনে নিন টলিউডের কোনো সুন্দরীরা সাহসী দৃশ্যগুলোকে যথেষ্ট দক্ষভাবেই পর্দায় ফুটিয়ে তুলেছেন-
স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়
টলিউডের এই সুন্দরীকে নিয়ে বিতর্ক ক্রমশ বেড়েছে বৈ কমেনি। সোশ্যাল মিডিয়ায় তার পোশাক নিয়ে জোর সমালোচনা চলে। তবে বাণিজ্যনির্ভর ছবির বাইরে বেরিয়ে ভিন্ন স্বাদের চরিত্রে নিজেকে মেলে ধরার ক্ষেত্রে কখনও পিছিয়ে আসেননি স্বস্তিকা। চল্লিশোর্ধ স্বস্তিকার বিকিনি ফটোশুট সোশ্যাল মিডিয়ার উষ্ণতার পারদ চড়িয়েছে বহুবার। তবে মৈনাক ভৌমিকের ‘‘আমি আর আমার গার্লফ্রেন্ডস” ছবিতে প্রথমবার বিকিনি পোশাক পড়ে বড়পর্দায় ধরা দিয়েছিলেন স্বস্তিকা।
পাওলি দাম
সাহসী দৃশ্যে পাওলি দামের অভিনয়ের জুড়ি মেলা ভার। তা সে হেট স্টোরিই হোক বা ‘ছত্রাক। চরিত্রের প্রয়োজনে ক্যামেরার সামনে নগ্ন হতে কোনো রকম দ্বিধায় ভোগেন না পাওলি। একাধিকবার বিকিনি পোশাকে ক্যামেরার সামনে ধরা দিয়েছেন পাওলি। তার সেই ছবিতে একদিকে যেমন সমালোচনার ঝড় ওঠে, অপরদিকে তেমনই দর্শকের থেকে প্রচুর ভালোবাসাও পান তিনি।
ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত
টলিউড অভিনেত্রীদের বিকিনি পরে ক্যামেরার সামনে ধরা দেওয়ার প্রথা বলতে গেলে প্রথম ঋতুপর্ণাই চালু করেছিলেন। ‘তৃষ্ণা ছবিতে তার সাহসী লুক দেখে তৎকালীন সময়ে অবাক হয়েছিলেন অনেকেই। যদিও স্থূল চেহারায় বিকিনি পরা নিয়ে জোর সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছিল ঋতুপর্ণাকে। তবে সাহসী দৃশ্যে তার অভিনয় দেখে নিঃসন্দেহে চমকে উঠেছিলেন দর্শক।
রূপা গঙ্গোপাধ্যায়
চরিত্রের প্রয়োজনে মুহূর্তের দৃশ্যে ধরা দিয়েছিলেন রুপাও। ক্যারিয়ারের শুরুতেই মহাভারতের ‘দ্রৌপদী চরিত্রে অভিনয় করে বেশ সাড়া ফেলে দিয়েছিলেন এই বাঙালি অভিনেত্রী। এরপর ‘অন্তরমহল, ‘মহুলবনীর সেরেং, ‘শূন্য এ বুকে এর মতো একাধিক বাংলা ছবিতে সাহসী দৃশ্যে অভিনয় করেছেন তিনি। ঋতুস্রাব থেকে শুরু করে দৃশ্য, সবেতেই সমানভাবে সাবলীল টলিউডের এই অভিনেত্রী।
শ্রীলেখা মিত্র
টলিউড সুন্দরী শ্রীলেখাও রয়েছেন এই তালিকায়। ৫০ এর কাছাকাছি বয়সে পৌঁছে গিয়েছেন তিনি। তবুও তার গ্ল্যামারে কুপোকাত তার অগণিত ভক্ত। শ্রীলেখাও ‘উড়ো চিঠি, ‘আশ্চর্য প্রদীপ, ‘হ্যালো কলকাতা, ‘কাঁটাতার এর মতো একাধিক ছবিতে সাহসী দৃশ্য ধরা দিয়েছেন।
ঋ সেন
‘ফ্রন্টাল ন্যুডিটিকে কোনো টলিউড অভিনেত্রী যদি সঠিকভাবে পর্দার সামনে তুলে ধরতে পেরেছেন, তাহলে তিনি হলেন অভিনেত্রী ঋ সেন। ‘কসমিক সে ছবিতে অভিনয় করার পর থেকেই বাংলা ‘সে বম্ব হয়ে উঠেছেন ঋ। যৌতা থেকে শুরু করে স্বমেহন, সব দৃশ্যই পর্দার সামনে সমানভাবে স্বাচ্ছ্যন্দ তিনি।‘গান্ডু, ‘তাসের দেশ, ‘বিষ ছবিতেও তার উপস্থাপনা দর্শককে মোহিত করেছে।