প্রকৃতির নিয়মে আপনার মুখে বয়সের ছাপ পড়বেই। একটা সময়ের পর মুখের ত্বক ধীরে ধীরে কুঁচকে যেতে শুরু করবে। চুলেও পাক ধরতে শুরু করবে। আর সেটাই খুব স্বাভাবিক। প্রকৃতির নিয়ম আপনি বদলাতে পারবেন না। কিন্তু বয়সের আগেই যদি আপনার মুখে বয়সের ছাপ পড়ে, তখন তা চিন্তার বিষয় হতে পারে। কিন্তু অনেক কারণেই আমাদের মুখে সময়ের আগেই বয়েসর ছাপ পড়ে। ত্বক কুঁচকে যায়। বলিরেখা প্রকট হয় ধীরে ধীরে। আপনি চাইলে এই সমস্যা সমাধান করতেই পারেন।
অনেকের কাছেই বয়স শুধু একটা সংখ্যা মাত্র। বয়স বাড়লেও ত্বক থাকে চকচকে এবং টানটান। তার জন্য আপনার ত্বকের সামান্য যত্ন নিতে হবে। পাশাপাশি আপনার জীবনশৈলীতও পরিবর্তন আনতে হবে। নাহলে কিন্তু খারাপ ও অস্বাস্থ্যকর লাইফস্টাইল আপনার ত্বকের বারোটা বাজতে পারে। ত্বকের যত্ন নিতেই হবে।
সাধারণত পুষ্টিকর খাবার, শরীরচর্চা, পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি ও ঘুম এবং মানসিক চাপ যুক্ত জীবনের মাধ্যমে আপনি ত্বকের উজ্জ্বলতা ৫০-এর পরও ধরে রাখতে পারেন। সময়ের আগে বুড়িয়ে যেতে কারওই ভালো লাগে না। এমনকি ত্বকের যে বার্ধক্যের ছাপ পড়ুক, এটাও আমরা কেউ চাই না। ত্বকের বার্ধক্যকে দূরে রাখতে নজর দিতে হবে লাইফস্টাইল ও স্কিন কেয়ারের ওপর।
জেনে নিন বিস্তারিত—
ত্বকের যত্নে সারাদিন সিরাম, ফেসপ্যাক মাখলেন কি মাখলেন না, সে দিকে জোর না দিলেও চলে। তবে, রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে কয়েকটি কাজ করা বেশি জরুরি।
রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে অবশ্যই মুখ পরিষ্কার করুন। ফেসওয়াশের পাশাপাশি বেসন, দুধের মতো প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে ত্বক পরিষ্কার করুন। ত্বক থেকে টক্সিন বের করা দরকার।
মুখ পরিষ্কারের পর টোনার ব্যবহার করতে পারেন। পাশাপাশি মুখে সিরাম দিয়ে ত্বক মালিশ করতে পারেন। ত্বক মালিশ করলে চামড়া দ্রুত ঝুলে পড়ে না, চামড়া টানটান থাকে।
ডার্ক সার্কেল যত্ন রাতেই নিতে হয়। ডার্ক সার্কেল ও চোখের ফোলাভাব কমাতে রাতে ঘুমানোর আগে আই ক্রিম ব্যবহার করুন। এতে চোখের কোণে বলিরেখাও এড়াতে পারবেন।
নাইটক্রিম ছাড়া ঘুমানো চলবে না। ত্বককে হাইড্রেটেড রাখতে এবং ত্বকের সমস্যা কমাতে সাহায্য করে ময়েশ্চারাইজার। এই কয়েকটি কাজ করলেই এড়াতে পারবেন ত্বকের সমস্যা।