চাকরির বাজারে আজকাল টিকে থাকাই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। নতুন বছরে প্রতিযোগিতা আরও বেশি চ্যালেঞ্জিং হবে। এজন্য নিজেকে আরও বেশি দক্ষ করার লড়াইয়ে নামতে হবে এখন থেকেই।
জেনে নিন ক্যারিয়ার উন্নতিতে সফল যোগাযোগ কৌশল
জীবনে টিকে থাকা জরুরি। নানান রকমের প্রতিবন্ধকতায় আপনাকে পথ চলতে হবে। তথ্যপ্রযুক্তির এ সময়ে যোগাযোগের দক্ষতা ভালো ক্যারিয়ার গড়তে দারুণ সহায়ক হতে পারে। এ ক্ষেত্রে স্যোসাল নেটওয়াক বা সামাজিক যোগাযোগ খুবই গুরুত্বপূর্ণ । কাজ ও যোগাযোগে দক্ষতা অর্জনে কয়েকটি বিষয় নিয়ে ভাবতে পারেন। যা আপনাকে নতুন করে পথ চলতে শেখাবে—
এক.
তুলনা না করে আত্নবিশ্বাসী হোন, এটা আপনাকে প্রেরণা দিবে। হিংসা পরিহার করে ভালোবাসতে শিখুন।
দুই.
অপরের মতামতকে গুরুত্ব দিন। নিজের মতামত পরে বলুন। এতে আপনি নিজেকে গুছিয়ে নিতে পারবেন। সামান্য বিষয়ে বিবাদ না করে সমন্বয়ের চেষ্টা করুন। এতে আপনার এগিয়ে যাওয়া সহজ হবে।
তিন.
পরিকল্পনা করে জীবনকে এগিয়ে নিন। মনে রাখবেন পরিকল্পনা কাজের অর্ধেক। যা আপনাকে আত্নবিশ্বাসী ও সাহসী করতে সহায়তা করবে। আপনি কি করছেন এবং কেন করছেন তা আগেই পরিকল্পনায় নিন।
চার.
পড়াশোনা এবং যে কোন কাজের পাশাপাশি প্রযুক্তি ও কারিগরি শিক্ষা ( বিশেষ পারদর্শী) নিজের দখলে রাখুন। প্রযুক্তি ক্ষতির কারণ না হয়ে হতে পারে আপনার এগিয়ে যাবার সহজ উপায় বা কাছের বন্ধু।
পাঁচ.
পরিবার ও মানসিক স্বাস্থ্যের প্রতি আন্তরিকভাবে গুরুত্ব দিন। মনে রাখবেন, দুনিয়ায় সবকিছুর আগে আপনার এগিয়ে যাবার পথে সবচেয়ে বেশি সহায়ক আপনার পরিবার ও আপনি নিজেই। তাই নিজেকে মানসিক প্রশান্তিতে রাখুন।
ছয়.
কোন কাজ করার আগে আপনি পারবেন না এটা না ভেবে বরং কি কি উপায়ে কাজটি করা যায় তা ভাবুন।
সময় দিন। যাদের সহায়ক মনে করেন পরামর্শ নিন।
সাত.
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো নিজেকে জ্ঞান বিকাশে আবিষ্কার করুন। পড়াশোনা করুন। যেভাবে যখন সুযোগ হয় বই নিয়ে বসুন। দুনিয়ার হাজারো বইয়ের মধ্যে বাছাইকৃত বই পড়ুন। জীবন ছোট কাজেই প্রোডাক্টিভ বই পড়ুন।
আট.
যে কোন পণ্য কেনাবেচা করুন। জনসংযোগ তৈরি করতে বিপণন একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম। পণ্য নিয়ে কথা বলুন। দক্ষতা যাচাই ও সম্পর্ক তৈরি করতে এটি সবসময় কাজ দিবে।
নয়.
অনলাইন বা স্যোশাল মিডিয়ায় অযথা সময় ব্যয় না করে তা ইফেক্টিভ করার উপায় বের করুন। যেভাবে আপনি সাচ্ছন্দ্যবোধ করেন। একটা করে নতুন কাজ
শিখুন এবং তা প্রয়োগ করুন।
দশ.
জীবনকে সহজভাবে দেখুন। দৈনিক দশটা সিদ্ধান্ত না নিয়ে একটা সিদ্ধান্ত নিন। কার্যকর করুন। দৈনন্দিন কাজের অভ্যাস তৈরি করুন। সময়কে কাজে লাগান।