রমজান সারা বিশ্বের মুসলমানদের জন্য পবিত্র মাস। এটি এমন একটি সময় যখন মুসলমানরা সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত পানাহার থেকে বিরত থাকেন, দিনের আলোতে খাবার ও পানীয় পান করেন না। এই সময়ে শরীর সুস্থ এবং শক্তিশালী রাখা গুরুত্বপূর্ণ। রমজানে নিরাপদে রোজা রাখতে আপনাকে সাহায্য করবে কিছু কাজ। রোজায় নিজেকে ভালো রাখতে এই ৫ কাজ করুন-
১. পুষ্টিকর খাবার খান
রমজানের সময় প্রতিটি ক্যালোরি গণনা করা গুরুত্বপূর্ণ। ভাজা আইটেম এবং মিষ্টির মতো ক্যালোরি সমৃদ্ধ খাবার খাওয়ার পরিবর্তে ফল, শাক-সবজি এবং দানা শস্যের মতো পুষ্টিকর খাবার বেছে নিন। এগুলো সারাদিন আপনার শক্তির মাত্রা স্থিতিশীল রাখতে সাহায্য করবে। সেহরি এবং ইফতারের সময় জটিল কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন এবং স্বাস্থ্যকর চর্বিযুক্ত সুষম খাবার খাওয়ার দিকে মনোযোগ দিন।
২. নিয়মিত ব্যায়াম করুন
রোজা রাখলেও রমজানে ব্যায়াম করা যায়। ব্যায়াম আপনার মেজাজ উন্নত করতে, চাপ কমাতে এবং শক্তির মাত্রা বাড়াতে সাহায্য করবে। ডিহাইড্রেশন এবং ক্লান্তি এড়াতে নন-ফাস্টিং ঘণ্টাগুলোতে ব্যায়াম করা গুরুত্বপূর্ণ। আপনার শরীর সঠিকভাবে হাইড্রেটেড এবং জ্বালানি থাকলে সন্ধ্যার প্রথম দিকে বা ইফতারের পরে ব্যায়াম করার চেষ্টা করুন। রমজানে হাঁটা বা হালকা যোগব্যায়ামের মতো কম প্রভাবশালী ব্যায়ামের দিকে মনোযোগ দিন।
৩. হাইড্রেটেড থাকুন
রোজার সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলো হাইড্রেটেড থাকা। রমজান মাসে শরীরকে হাইড্রেটেড রাখতে ইফতারের পর থেকে সেহরি পর্যন্ত প্রচুর পানি পান করা অপরিহার্য। রোজা রাখার আগে কমপক্ষে ৪-৫ গ্লাস পানি পান করার লক্ষ্য রাখুন এবং ডিহাইড্রেশন প্রতিরোধে সাহায্য করার জন্য ইফতারের পরে ৩-৪ গ্লাস পানি পান করুন। কোমল পানীয় এবং এনার্জি ড্রিঙ্কের মতো চিনিযুক্ত পানীয় এড়ানোও গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এগুলো আপনাকে ডিহাইড্রেট করতে পারে এবং আপনাকে আরও বেশি তৃষ্ণার্ত বোধ করাতে পারে।
৪. পর্যাপ্ত ঘুম
রমজান মাসে শরীরকে রিচার্জ এবং পুনরুদ্ধার করতে সাহায্য করার জন্য পর্যাপ্ত ঘুম অপরিহার্য। প্রতি রাতে কমপক্ষে ৭-৮ ঘণ্টা ঘুমানোর লক্ষ্য রাখুন এবং ঘুমের চক্র বজায় রাখতে তাড়াতাড়ি বিছানায় যাওয়ার চেষ্টা করুন। ঘুমানোর আগে ক্যাফেইন এবং অন্যান্য উদ্দীপক এড়িয়ে চলুন, কারণ এগুলো আপনার ঘুম নষ্ট করতে পারে এবং পরের দিন আপনি ক্লান্ত ও অলস বোধ করতে পারেন।
৫. নিজের যত্ন নিন
রমজান মাসটি মানসিক এবং শারীরিকভাবে একটি চ্যালেঞ্জিং সময় হতে পারে, তাই এসময় নিজের যত্ন নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ। বিশ্রাম নেওয়া কিংবা নিজের ভালোলাগার কিছু কাজ করতে পারলে তা আপনাকে সতেজ রাখতে সাহায্য করবে। ধর্মীয় প্রার্থনা আপনাকে মানসিক চাপ কমাতে এবং আপনার মানসিক সুস্থতা উন্নত করতে সাহায্য করবে। এই সময়ে নিজের যত্ন নেওয়ার দিকে মনোনিবেশ করুন এবং নিজেকে খুব বেশি চাপ দেবেন না।