বিগত এক দশকে নতুন পরাশক্তি হিসেবে আবির্ভূত চীনের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় পেরে উঠছে না পশ্চিমা বিশ্ব। চীন ও প্রাচ্যের দেশগুলো তাদের শক্তি ও প্রভাব যেভাবে বাড়িয়ে চলেছে, তাতে আগামী এক দশকের মধ্যে দুর্বল হয়ে পড়বে পশ্চিমা বিশ্বের শিল্পোন্নত দেশগুলো।
সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) এমন তথ্যই বেরিয়ে এসেছে ‘মিউনিখ নিরাপত্তা সূচক’ শীর্ষক এক জরিপের ফলাফলে। শিল্পোন্নত সাত দেশ (জি-সেভেন) ছাড়াও ব্রাজিল, ভারত, চীন ও দক্ষিণ আফ্রিকার প্রায় ১২ হাজার মানুষের কাছে সবচেয়ে বড় নিরাপত্তা হুমকি সম্পর্কে জানতে চাওয়া হয় জরিপে। গত অক্টোবর ও নভেম্বরে জরিপটি পরিচালিত হয়েছে।
আগামী শুক্রবার থেকে জার্মানিতে শুরু হতে যাচ্ছে তিন দিনব্যাপী ‘মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলন’। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় সামরিক কর্মকর্তা, নিরাপত্তা বিশ্লেষক ও রাজনীতিবিদেরা অংশ নেবেন এতে। প্রতিবছর এই সম্মেলনের আগে ‘মিউনিখ নিরাপত্তা সূচক’ শীর্ষক জরিপটি প্রকাশ করা হয়।
চীন ও তাইওয়ানের মধ্যে যুদ্ধ হতে পারে বলে শঙ্কার কথাও উল্লেখ করা হয়েছে জরিপের প্রতিবেদনে। মিউনিখ সম্মেলনের চেয়ারম্যান ক্রিস্টোফ হয়েসগেন তার রিপোর্টে লিখেছেন, ‘শিল্পোন্নত সাত দেশের একটি বড় অংশের নাগরিকেরা মনে করছেন, আগামী ১০ বছরে সম্পদের সংকটে পড়বে তাদের দেশ; একই সঙ্গে সৃষ্টি হবে নিরাপত্তার ঝুঁকিও।’
এদিকে আগামী বিশ্ব ব্যবস্থার জন্য জলবায়ু পরিবর্তন ও যুদ্ধের কারণে সৃষ্ট অভিবাসনকে সবচেয়ে বড় হুমকি মনে করছেন জরিপে অংশগ্রহণকারীরা। এ ছাড়া সাইবার হামলা ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রভাব নিয়েও শঙ্কা প্রকাশ করেন উত্তরদাতারা।
উল্লেখ্য, শিল্পোন্নত সাত দেশের গ্রুপ জি-সেভেনের সদস্য রাষ্ট্রগুলো হলো যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, ফ্রান্স, ইতালি, জার্মানি ও জাপান। এ ছাড়া ইউরোপীয় ইউনিয়নও এই গ্রুপের প্রতিনিধিত্ব করে। বর্তমান বিশ্বের মোট সম্পদের ৬৪ শতাংশই পশ্চিমা এই গ্রুপটির নিয়ন্ত্রণে।