শুভ্রদেবের একুশে পদকপ্রাপ্তির খবর প্রকাশের পর থেকে প্রিন্স মাহমুদের সঙ্গে পাল্টাপাল্টি জবাব চলছে। প্রথমে সামাজিক যোগযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্ট দেন প্রিন্স মাহমুদ। সেই পোস্টের পরিপ্রেক্ষিতে পাল্টা জবাব দেন শুভ্রদেব। ফেসবুকের মাধ্যমে এবার আবার তার জবাব দিলেন প্রিন্স মাহমুদ।
প্রিন্স মাহমুদ প্রসঙ্গে শুভ্রদেব বলেছিলেন, তিনি (প্রিন্স মাহমুদ) তো আমার গানের জন্য বাসায় এসে বসে থাকতেন। কদিন আগেও তিনি আমাকে গানের জন্য ফোন করেছেন।’ শুভ্রদেবের এমন বক্তব্যের পর বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি) বিষয়টি নিয়ে ফেসবুকে আবার পোস্ট দিয়েছেন প্রিন্স মাহমুদ।
ফেসবুক স্ট্যাটাসে প্রিন্স মাহমুদ বলেন, ক্ষুদ্র মানুষ কিন্তু মিথ্যা বলিনা। তিনি সত্য গোপন করছেন। কিছুদিন আগে কেন আমি তাকে ২৫ বছরে ফোন করি নাই। ভদ্রলোকের বাসা যে পল্লবী এটা জানতাম না। সবসময় সবার থেকে দূরে থাকতে পছন্দ করি। অতি নিকটজন না হলে আড্ডায় বসি না কোথাও গিয়ে বসে থাকা তো দূর। পুরনো দিনে গানের যোগাযোগ সব স্টুডিওতে হতো। কাজ শেষ হলে এক মুহূর্ত স্টুডিওতে আড্ডা দেই নাই ।
নিজের পোস্টের মন্তব্যের ঘরে প্রিন্স মাহমুদ আরও লিখেছেন, আমার কাছে সব শিল্পী এক। সংগীতের শপথ, আমার কারও ওপর কোনো রাগ নাই। আমি শুধু দু–একটা অসংগতি–অনিয়ম নিয়ে কথা বলেছি। ভুল হলে ক্ষমা করবেন।
এর আগে শুভ্রদেব তার বক্তব্যে বলেছিলেন, প্রিন্স মাহমুদ ক্যারিয়ারের দিক থেকে আমার অনেক জুনিয়র। ও (প্রিন্স মাহমুদ) আমার পল্লবীর বাসায় এসে বসে থাকত আমাকে দিয়ে গাওয়ানোর জন্য। ও একটা মিক্সড অ্যালবামে গান করার জন্য অনেক দিন গিয়ে বসে ছিল। আমি মিক্সড অ্যালবামে গান করব না। কারণ, তখন সলো অ্যালবামে আমি সবচেয়ে বেশি টাকা নিতাম। তারপরও আমার খারাপ লাগল, অনেক ইয়াং একটা ছেলে।
চলতি বছর সংগীতে একুশে পদক পেয়েছেন এন্ড্রু কিশোর (মরণোত্তর) ও শুভ্রদেব। মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) ‘একুশে পদক ২০২৪’-এর মনোনীত ব্যক্তিদের হাতে পুরস্কার তুলে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এবারের একুশে পদক যেদিন ঘোষণা করা হয়, সেদিন গীতিকবি ও সুরকার প্রিন্স মাহমুদ ফেসবুকে একটি পোস্ট দেন। সেখানে তিনি লেখেন, দেশের সংগীতে শুভ্রদেবের অবদান আছে। কিন্তু তার চেয়ে অনেক বেশি অবদান লাকী আখান্দ্, আইয়ুব বাচ্চু, ফুয়াদ নাসের বাবু, নকীব খান, কুমার বিশ্বজিৎ, তপন চৌধুরী, হামিন আহমেদ, মাকসুদুল হক, মাহফুজ আনাম জেমস এবং প্রিয় গীতিকবি কাওসার আহমেদ চৌধুরী ও শহীদ মাহমুদ জঙ্গির। প্রিয় শুভ্রদেবের উচিত এই প্রসঙ্গে কথা বলা। নিজে পদক না গ্রহণ করে সত্যিকার মেধাবীকে পদক দিতে বলার এই সংস্কৃতি এখনই শুরু হোক।
তবে প্রিন্স মাহমুদের এসব কথাকে একেবারে আমলে নেননি শুভ্রদেব। তিনি পাল্টা বলেছেন, আজকে যদি সৈয়দ আব্দুল হাদী, রুনা লায়লার মতো শিল্পীরা কিছু বলতেন, তাহলে হয়তো আমি ভাবতাম। জুনিয়ররা অনেকে অনেক কিছু বলে ফেলে, আমি এগুলো ক্ষমাসুন্দর চোখে দেখি। আমার মনে হয়, তিনি কারও ইন্ধনে এমন কথা বলেছেন। নইলে এমন কথা কীভাবে তিনি বলেন! যারা সমালোচনা করছেন, তারা তো আমার লেভেলের (সমসাময়িক) না। তিনি (প্রিন্স মাহমুদ) তো আমার গানের জন্য বাসায় এসে বসে থাকতেন। কদিন আগেও তিনি আমাকে গানের জন্য ফোন করেছেন।