বলিউড অভিনেত্রী শ্রীদেবী ক্যারিয়ারে অসংখ্য হিট সিনেমা উপহার দিয়েছেন। ২০১৮ সালে দুবাইতে অভিনেত্রীর আকস্মিক মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছিল বলি ইন্ডাস্ট্রিতে। শ্রীদেবীর মৃত্যুর পর থেকেই দানা বেঁধেছিল রহস্য।
শ্রীদেবীর এই অকাল প্রয়াণ সত্যিই কী আকস্মিক মৃত্যু, নাকি খুন হয়েছিলেন তিনি? আর অভিনেত্রী যদি খুনই হয়ে থাকেন, তাহলে এর নেপথ্যে কে? মৃত্যুর পর থেকে এমন নানান প্রশ্ন রহস্যের জাল বুনেছে ভক্তদের মনে। এবার সিবিআইয়ের পক্ষ থেকে শ্রীদেবীকে নিয়ে প্রকাশ্যে এলো চাঞ্চল্যকর তথ্য।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের ভুয়া চিঠি দেখিয়ে শ্রীদেবীর রহস্যজনক মৃত্যু নিয়ে বিভিন্ন দাবি তুলেছিলেন ভুবনেশ্বরের দীপ্তি আর পিন্নতি নামের এক ইউটিউবার।
তিনি দাবি করেছিলেন যে, শ্রীদেবীর মৃত্যুর ঘটনাকে ভারত সরকার ও আরব আমিরশাহী সরকারের পক্ষ থেকে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। এমনকি নিজের যুক্তি প্রমাণিত করতে মোদি ও প্রতিরক্ষামন্ত্রীর অনুমোদিত বিভিন্ন তথ্য ও চিঠিও দেখিয়েছিলেন দীপ্তি। তবে পরবর্তীতে সেসব ভুয়া বলেই প্রমাণিত হয়।
গেল বছর ওই নারী ইউটিউবার ও তার আইনজীবীর বিরুদ্ধে মুম্বাইয়ে মামলা দায়ের হয়। মামলার অভিযোগে বলা হয়, নিজের কাছে শ্রীদেবীর মৃত্যুসংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য রয়েছে বলে দাবি করেছেন দীপ্তি। পাশাপাশি নিজের ইউটিউব চ্যানেলে ভিডিও করে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর, প্রতিরক্ষা মন্ত্রক, সুপ্রিম কোর্ট ও সংযুক্ত আরব আমিরশাহী সরকারের ভুয়া নথিপত্র পেশ করেছিলেন।
এর আগে, ওই ইউটিউবারের ভুবনেশ্বরের বাড়িতে তল্লাশিও চালিয়েছিল সিবিআই। সেখান থেকে একাধিক ফোন ও ল্যাপটপ বাজেয়াপ্ত করেছিল তারা। পরে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১২০বি, ৪৬৫, ৪৬৯ এবং ৪৭১ নম্বর ধারা অনুযায়ী, মামলা করা হয়েছে দীপ্তির বিরুদ্ধে। সেই ধারাবাহিকতায় এবার তার বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ করল সিবিআই।
জানা গেছে, ২০১৮ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি দুবাইতে সপরিবারে ঘনিষ্ঠ আত্মীয় মোহিত মারওয়ারের বিয়ের অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন শ্রীদেবী। সেখানে হোটেলের বাথটবে ডুবে মারা যান শ্রীদেবী। ফরেনসিক রিপোর্টে এমন খবর প্রকাশ পেলেও তার মৃত্যুর রহস্য নিয়ে হিসাব মেলাতে পারেননি অনেকেই।
দাবি করেন, খুন করা হয়েছিল শ্রীদেবীকে। রহস্যের গন্ধ পেয়ে মামলা দায়ের হয়। তারপর থেকেই শ্রীদেবীর মৃত্যু ঘিরে তৈরি হয় ধোঁয়াশা। কিন্তু তদন্তে খুনের বিষয়ে কোনো সত্যতা না পেয়ে মামলা শেষ করে দেয় পুলিশ।
এমনকি ভারতের শীর্ষ আদালতের তরফেও খারিজ করে দেওয়া হয় মামলাটি। তবে এবার শ্রীদেবীর মৃত্যু নিয়ে তদন্ত করার নামে ভুয়া তথ্য পেশ করায় আইনি জটিলতায় পড়েছেন ওই ইউটিউবার।