শিশুর বেড়ে ওঠা নির্ভর করে মা-বাবা ওপর। সন্তানের সাথে বেশি সময় কাটালে একঘেয়েমি কেটে যাবে। অনেক সময় একই জীবনযাত্রা শিশুদের মাঝে হতাশা তৈরি করতে পারে। তাই মা-বাবার উচিত তাদের সাথে কিছু ক্রিয়াকলাপে যুক্ত হওয়া। এতে শিশুরা ব্যস্ত এবং সুখী থাকবে। শিশুকে মানসিক এবং শারীরিকভাবে সব সময় চাপমুক্ত রাখার চেষ্টা করুন। পড়াশোনা যেমন শিশুর জন্য জরুরি। তেমনিভাবে খেলাধুলাও জরুরি। এই দুইটি তাদের মস্তিষ্কের বিকাশে সহায়তা করে। মা-বাবা হিসেবে আপনি আপনার শিশুকে সর্বোত্তম ভাবে সহযোগিতা করতে পারেন।
একসাথে পড়া
পড়া একটি অপরিহার্য ক্রিয়াকলাপ। যা শিশুদের কল্পনা, ভাষা দক্ষতা এবং জ্ঞান বিকাশকে উদ্দীপিত করতে সহায়তা করে। প্রতিদিন শিশুর সাথে পড়ার জন্য কিছু সময় আলাদা করুন। ছোট গল্পের বই কি্নে পড়তে পারেন। এরপর শিশুকে গল্প নিয়ে প্রশ্ন করুন। তার সাথে আলোচনা করুন। এতে শিশুর মানসিক ভাবে বিকাশ লাভ হবে।
খেলাধুলা
বাচ্চাদের সামগ্রিক সুস্থতার জন্য বাইরে শারীরিক ক্রিয়াকলাপে জড়িত হওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাদের প্রতিদিন বাইরে সময় কাটাতে উৎসাহিত করুন। হতে পারে তা পার্কে খেলা, বাইসাইকেল চালানো আরও অনেক কিছু। বাইরে খেলাধুলা শারীরিক ফিটনেস বজায় রাখতে সাহায্য করে। এ ছাড়া, শিশু সামাজিক হয়ে ওঠে। তার মাঝে অ্যাডভেঞ্চারের অনুভূতি প্রকাশ পায়।
সৃজনশীল সময়
শিশুদের সাথে সৃজনশীল সময় কাটান। যেমন- অঙ্কন,নাটক, কারুশিল্প, সঙ্গীত অথবা নৃত্য। এই ক্রিয়াকলাপগুলো আপনার সন্তানের সৃজনশীলতা, দক্ষতা এবং সমস্যা সমাধানের ক্ষমতা বাড়াবে। তাদের কল্পনাকে উৎসাহিত করবে। শিশুদের আত্মবিশ্বাস বাড়ানোর জন্য তাদের প্রচেষ্টার প্রশংসা করুন।
পারিবারিক খাবারের সময়শিশুকে নিয়ে এক সাথে খাবার খান। এতে একটি মানসম্পন্ন বন্ধনের সৃষ্টি হবে। প্রতিদিন কমপক্ষে এক বেলার খাবার এক সাথে খান। খাওয়া শেষে অর্থপূর্ণ কথোপকথনে জড়িত হতে পারেন। নানা রকম গল্প ভাগ করতে পারেন। এগুলোই পরবর্তিতে স্মৃতি হিসেবে রয়ে যাবে।
শিক্ষা কার্যক্রম
সন্তানের বুদ্ধিবৃত্তিক বৃদ্ধিকে সমর্থন করার জন্য শিক্ষামূলক ক্রিয়াকলাপে নিযুক্ত করুন। ধাঁধা সমাধান করা, শিক্ষামূলক গেম খেলা, বিজ্ঞান পরীক্ষা করা বা মৌলিক গণিত দক্ষতা অনুশীলন অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে। এই ক্রিয়াকলাপগুলো তাদের বয়স এবং আগ্রহের সাথে সামঞ্জস্যতা রেখে করুন।
কাজ ও দায়িত্ব
বাড়ির কাজ এবং দায়িত্বগুলোর সাথে আপনার শিশুকে পরিচিত করুন। মাঝে মাঝে এক সাথে কাজ করুন। এটি তাদের সংগঠন, টিমওয়ার্ক এবং জবাবদিহিতার ব্যাপারে শিক্ষা দিবে। ঘর পরিষ্কার করা, টেবিল গোছানো বা লন্ড্রিতে সহায়তা করার মতো কাজগুলো করতে বলুন। তাহলে ছোট থাকতেই তারা দায়িত্ব নিতে পারবে।
https://bangla-bnb.saturnwp.link/%e0%a6%ae%e0%a6%a7%e0%a7%81-%e0%a6%a6%e0%a6%bf%e0%a6%af%e0%a6%bc%e0%a7%87-%e0%a6%ac%e0%a6%be%e0%a6%a8%e0%a6%bf%e0%a6%af%e0%a6%bc%e0%a7%87-%e0%a6%ab%e0%a7%87%e0%a6%b2%e0%a7%81%e0%a6%a8-%e0%a6%98/
কোয়ালিটি টাইম
সন্তানের সাথে মানসম্পন্ন সময় কাটানোর চেষ্টা করুন। বোর্ডগেম খেলা, হাঁটতে যাওয়া, সিনেমা দেখা বা একসাথে তাদের প্রিয় শখগুলোতে জড়িত হন। এতে সন্তানের সাথে পিতামাতার সম্পর্ক আরও গভীর হয়।