সাইবার সিকিউরিটি হলো কম্পিউটার, সার্ভার, মোবাইল ডিভাইস, ইলেকট্রনিক সিস্টেম, নেটওয়ার্ক এবং সাইবার ডেটা আক্রমণ থেকে ডেটা রক্ষা করার অনুশীলন। এটি তথ্য প্রযুক্তি সুরক্ষা বা ই-তথ্য সুরক্ষা হিসাবেও পরিচিত। সিকিউরিটি সফ্টওয়্যার ডিভাইসগুলিকে হুমকিমুক্ত রাখে।আজ আমরা সাইবার সিকিউরিটি কি এবং সাইবার সিকিউরিটি এর প্রয়োজনীয়তা নিয়ে জানব।
সাইবার সিকিউরিটি এর কিছু ধরণঃ
Network Security: এটি হলো আক্রমণকারী বা সুবিধাবাদী ম্যালওয়্যার ও অনুপ্রবেশকারীদের বা হ্যাকারের কাছ থেকে কম্পিউটার নেটওয়ার্ক সুরক্ষিত করার অনুশীলন।
Application Security: এটি সফ্টওয়্যার এবং ডিভাইসগুলিকে হুমকি(Threats) থেকে মুক্ত রাখে। এটি অ্যাপ্লিকেশন সুরক্ষার জন্য ডিজাইন করা একটি সিকিউরিটি সিষ্টেম ।
Internet Security: ইন্টারনেটে ব্রাউজারগুলোর মাধ্যমে প্রেরিত এবং প্রাপ্ত তথ্যের সুরক্ষা । সেই সাথে ওয়েব-ভিত্তিক অ্যাপ্লিকেশনগুলির সাথে ইন্টারনেট সিকিউরিটিও জড়িত।
Information Security: এটি স্টোরেজ এবং ট্রানজিট উভয়ই ডেটার অখণ্ডতা এবং গোপনীয়তা রক্ষা করে।
Operational Security: এটি ডেটা সম্পদ পরিচালনা এবং সুরক্ষার জন্য একটি প্রক্রিয়া। কোনো নেটওয়ার্কে অ্যাক্সেস করার সময় ব্যবহারকারীর অনুমতি এবং পদ্ধতি কীভাবে কোথায় কোথায় সংরক্ষণ করা বা ভাগ করা যায় সেগুলো এটি করে থাকে।
Cloud Security: সরাসরি ইন্টারনেটে সংযোগের মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা অ্যাপ্লিকেশন, ডেটা এবং তাদের পরিচয় ক্লাউডে ট্রান্সফার করে থাকেন। এবং প্রচলিত সুরক্ষা স্ট্যাক দ্বারা সুরক্ষিত নয় প্রোটেকটেড ক্লাউড সুরক্ষা সফটওয়্যার-হিসাবে-এ-পরিসেবা (SaaS) অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার করে থাকেন। এবং পাবলিক ক্লাউডের ব্যবহার সুরক্ষিত করতে সহায়তা করতে পারে। ক্লাউড সুরক্ষার জন্য একটি ক্লাউড-অ্যাক্সেস সুরক্ষা ব্রোকার (CASB), সুরক্ষিত ইন্টারনেট গেটওয়ে (SIG) এবং ক্লাউড-ভিত্তিক ইউনিফাইড হুমকি পরিচালন (UTM) ব্যবহার করা যেতে পারে।
Endpoint Security: এটা ডিভাইস স্তরে সুরক্ষা সরবরাহ করে। এন্ড-পয়েন্ট সুরক্ষার মাধ্যমে সুরক্ষিত হতে পারে এমন ডিভাইসে যেমন সেল ফোন, ট্যাবলেট, ল্যাপটপ এবং ডেস্কটপ কম্পিউটার ইত্যাদি। এন্ড-পয়েন্টের সুরক্ষা আপনার ডিভাইসগুলিকে ম্যালিসিয়াস নেটওয়ার্কগুলিতে প্রবেশ করা থেকে বিরত রাখবে যেন আপনি সুরক্ষিত থাকেন।
Data Security: ডেটা সিকিউরিটি হলো ডিজিটাল তথ্যকে তার পুরো জীবনের সকল অননুমোদিত প্রবেশ, দুর্নীতি বা চুরি থেকে রক্ষা করা। এবং ডেটাগুলো কিভাবে ব্যবহার হয়, সেটাতে নজর রাখা।
Cyber Security এর প্রয়োজনীয়তা ?
বর্তমান যুগ তথ্য আদান প্রদানের যুগ। প্রযুক্তিতে প্রায় সময় পরিবর্তন আসছে। প্রযুক্তির সুবিধা নিতে বাড়ছে প্রযুক্তি নির্ভরতা। সেই সাথে বাড়ছে তথ্য নিরাপত্তা ঝুঁকি বা সাইবার ক্রাইম।সাইবার ক্রাইম বর্তমানে একটি জটিল আন্তর্জাতিক সমস্যা। নিরাপদ ইন্টারনেট নিশ্চিত করার জন্য বিশ্বব্যাপী সাইবার ক্রাইম মোকাবিলা এখন বড় চ্যালেঞ্জ। প্রতিনিয়ত সাইবার ক্রাইমের শিকার হচ্ছে সরকারী , বেসরকারী প্রতিষ্ঠান, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে শুরু করে ছোট বড় সব আর্থিক ও বাণিজ্যিক সংস্থাও। এ জন্য বর্তমান বিশ্বে প্রযুক্তি ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলো সাইবার ক্রাইম মোকাবিলা।
প্রযুক্তির উন্নয়নের চেয়ে সাইবার ক্রাইম অপরাধীরা বেশি দ্রুত গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। সাইবার ক্রাইমই তাদেরএক ধরনের পেশা হিসেবে নিচ্ছে। আমাদের দুর্বল এবং দুর্বল নিরাপত্তাযুক্ত সিস্টেমগুলি হ্যাক করে তারা ব্যক্তিগত ও রাষ্ট্রীয় গোপনীয় তথ্য বা নথি হাতিয়ে নিচ্ছে যা ব্যক্তি বা রাষ্ট্রের জন্য হুমকি। এ ছাড়া প্রায়ই বিভিন্নরকম ভয়াবহ আক্রমণের শিকার হচ্ছে ইন্টারনেট ব্যবহারকারী ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান। তাই সাইবার সিকিউরিটি শেখা নিজ ও নিজ দেশ এবং রাষ্ট্রের জন্য ভালো। দিন দিন সাইবার সিকিউরিটি স্পেসালিস্টদের চাহিদা ব্যাপকভাবে বাড়বে।
Cyber Security তে ক্যারিয়ারঃ
আপনার যদি ইন্টারেস্ট থাকে এই বিষয়ে তাইলে আপনি সাইবার সিকিউরিটিতে ক্যারিয়ার করতে পারেন। আপনি যদি সাইবার সিকিউরিটিকে প্যাশন হিসাবে নিতে চান তাহলে এইদিকে আসবেন । তাছাড়া আসার দরকার নাই। যদি শুধু টাকা ইনকামের জন্য আসতে চান তাহলে আপনার এ লাইনে আর আসার দরকার নাই। সত্য বলতে আপনাকে প্যাশনেট হতে হবে, ধৈর্য্য থাকতে হবে, শ্রম দিতে হবে। লেগে থাকার মানসিকতা থাকতে হবে। কিছুদিন শিখে আপনি এক্সপার্ট হতে পারবে না। এর জন্য আপনাকে সাধনা করতে হবে মানে প্রচুর পড়তে হবে, জানতে হবে, রিসার্চ করতে হবে ।
https://bangla-bnb.saturnwp.link/data-science-learn/
তারপর আপনি নিজেই বুঝতে পারবেন আপনি কতোটা যোগ্য হতে পেরেছেন এই সেক্টরে । আপনার একাগ্রতা, সাধনা এবং আগ্রহ আপনাকে আপনার কাঙ্ক্ষিত পারিশ্রমিক বা স্যালারী পেতে সক্ষম হবেন। তাই প্যাশন থাকলে আজই কাজে লেগে যান। কিভাবে কি শিখতে হবে জানার চেষ্টা করুন এবং বোঝার চেষ্টা করুন। দিন শেষে সব আপনাকেই করতে হবে । কেউ আপনাকে শিখাতে আসবে না । এখন থেকেই নিজের ভালো বুঝে নেন। সেই হিসাবে সব রিসোর্স খুঁজে নেন । এখনি সময় ঘুরে দাড়ানোর তাই যা করতে চাচ্ছেন শুরু করে দেন। সেই দিন টা হবে আপনার যেদিন আপনি সফল হবেন।