আবুধাবি টি-১০ লিগে বাংলা টাইগার্সের হয়ে খেলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন সাকিব আল হাসান। আসর আরম্ভের আগে তিনি দলটির ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মকে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন। এ সময় তিনি বাংলাদেশের কয়েকজন ক্রিকেটারকে ‘দুর্ভাগা’ হিসেবে অভিহিত করেন।
টাইগারদের সাবেক অধিনায়কের সাক্ষাৎকারের একটি অংশ নিজেদের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে প্রচার করে বাংলা টাইগার্স। ভিডিওটি মুহূর্তেই ভাইরাল হয়ে যায়।
সাকিব বলেন, ‘নাসির হোসেন, সাব্বির রহমান, ইমরুল কায়েস এবং মোহাম্মদ মিঠুনসহ আরো অনেক খেলোয়াড় আছেন যাদের ক্যারিয়ার তাদের দক্ষতার তুলনায় বেশ কম সময় ধরে চলেছে। এরকম আসলে অনেক অনেক (ক্রিকেটার রয়েছে), এর কারণ নিয়ে নির্বাচকরা ভালো উত্তর দিতে পারবেন।’
সব খেলোয়াড় যে সমান সুযোগ পান না, সেটিও খোলামেলা জানিয়ে দেন এই অলরাউন্ডার। একইসঙ্গে দলে টিকে থাকার ক্ষেত্রে ধারাবাহিক পারফর্ম করা, দলীয় কম্বিনেশন ও অন্যান্য ফর্ম সম্পর্কিত বিষয়গুলোও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে বলে স্বীকার করেন।
‘আসলে খেলাটাই এমন। আপনার ১৫ জন নির্বাচন করতে হবে, তারপর ১১ জন। সেখান থেকে যারা সুযোগ পায় আসলে তাদের পারফর্ম করারও একটা দায়িত্ব আছে। কেউ বলতে পারে কম সুযোগ পেয়েছে। যা ঘটে, সবাই আসলে একরকম সুযোগ পায় না। এটা দেয়াও আসলে সম্ভব না। আপনার দল আপনি চালাচ্ছেন। সবাইকে আপনি একভাবে বিশ্বাসও করতে পারবেন না, একভাবে সুযোগও দিতে পারবেন না।’
‘কাউকে এক ম্যাচ পর মনে হবে, না একে দিয়ে হবে না। আবার কাউকে দেখে মনে হবে, না ও পারবে। এ ব্যাপারটা আসলে থাকে, ভুল কিছু না। যেটা হচ্ছে, কেউ কম সুযোগ পাবে কেউ বেশি। যে কম পাচ্ছে, তার জন্য সেটাই যথেষ্ট সুযোগ। যে বেশি পাচ্ছে তার, জন্য ওটাই যথেষ্ট। ওখান থেকেই একজন খেলোয়াড়ের দায়িত্ব, নিজেকে কীভাবে মেলে ধরতে পারবে।’
পরিসংখ্যান অবশ্য বলছে, ইমরুল-নাসির-সাব্বির-মিঠুনদের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার স্বল্পমেয়াদী ছিল না।। যদিও সেটি আরো লম্বা হতে পারতো। ২০০৮ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হওয়ার পর ইমরুল খেলেছেন ১৩১টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ। নাসিরের জাতীয় দলে অভিষেক ২০১১ সালে, সবমিলিয়ে ১১৫টি ম্যাচ খেলেছেন। ২০১৬ সালে অভিষিক্ত সাব্বির ১২৫ এবং ২০১৮ সালে অভিষিক্ত মিঠুন খেলেন ৬১টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ।