বেশ কয়েক বছর ধরেই হয়তো খরচের লাগাম টেনে ধরার কথা ভাবছেন। কিন্তু কিছুতেই ব্যয়টাকে বাগে আনতে পারছেন না। বাড়িভাড়া, বিদ্যুৎ-গ্যাস ইত্যাদির বিল, বাজার খরচ—সব মিলিয়ে দিশাহারা হওয়ার জোগাড়। তবে দুর্দিনের কথা মাথায় রেখে সাশ্রয়ী হওয়ার চেষ্টা করাটাই বুদ্ধিমানের কাজ। যখন আপনি নিজের কোনো দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনা করবেন এবং সেখানে একটির পর আরেকটি দেখুন ভালোভাবে। হয়তো নীচের এ বিষয়গুলো সেখানে আছে।
১. প্রথমে ভালোভাবে চিন্তা করুন
নিজের করণীয় সম্পর্কে তালিকা করার আগে আপনাকে ভাবতে হবে কি করা উচিত আর কি করা উচিত না।
সব লিখে তারপর দেখুন কোনটিকে বেশি অগ্রাধিকার দেয়া দরকার। চিন্তাগুলোকে একটি কাঠামোতে সাজিয়ে ফেলুন। দেখুন কোন সময়ে কোনটি করলে ভালো ফল আসবে। এভাবে ভেবে চিন্তে এগুতে থাকুন এবং তালিকাটি করেই ফেলুন।
এতে করে আপনি যাই করবেন তাতে একটি মানসিক সন্তুষ্টি থাকবে আপনার। চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা বলেন আমরা একই সময়ে আমাদের মাথায় চারটি বিষয়কে রাখতে পারি।
২. নিজেকে আরও সফল করে তুলুন
তালিকাটি আক্ষরিক অর্থেই আপনাকে সফল করে তুলতে পারে এবং এটিই হতে পারে বেশি কার্যকর।
মনোবিজ্ঞানী জর্ডান পিটারসন দেখিয়েছেন যে শিক্ষার্থীরা একটি প্রক্রিয়া অনুসরণ করলে তাদের পারফরমেন্স ভালো হয়।
তাই একটি কলম নিন, সাথে এক টুকরো কাগজ।
নিজের লক্ষ্যগুলো লিখতে শুরু করে দিন।
৩. অর্থ সঞ্চয় করুন
নিজের অর্থ সঞ্চয়ের বিষয়ে ভাবতে হবে।
অর্থাৎ কোথায় গেলে আপনার জন্য সাশ্রয় হবে সেটিও জানা থাকা উচিত।
তাই ধরুন শপিংয়ে যাবেন, তাহলে লিখে ফেলুন কি কি কিনবেন।
তারপর দেখুন কোথায় সেটা আপনার জন্য সাশ্রয়ী হবে।
এটি আপনাকে অতিরিক্ত অর্থ ব্যয় থেকে রক্ষা করবে।
৪. আত্ম-সন্দেহ থেকে মুক্ত থাকুন ও আত্মবিশ্বাসকে আরও জাগ্রত করুন
ধরুন হঠাৎ যদি মনে হয় যে জীবন আপনি পার করছেন তা যথেষ্ট ভালো নয়, তাহলো একটি সঠিক তালিকাই আপনাকে সে পরিস্থিতি থেকে বের করে নিয়ে আসতে পারে।
আপনি আপনার ছোট বড় সব অর্জনগুলো তালিকায় তুলে ফেলুন।
দেখবেন সত্যিই কি দারুণ সময় গেছে আপনার।
মানুষ এ আত্মবিশ্বাস নিয়েই সমস্যায় ভোগে।
তাই এ তালিকাটি করুন সেটি যে ধরণের সাফল্যই হোকনা কেন।
এরপর দেখুন নিজের যোগ্যতা সম্পর্কে আত্মবিশ্বাস আরও কিভাবে বাড়ে।
৫. নিশ্চিত করুন যে কোনো ভুল করছেন না
এটি আপনাকে কোনো বিপর্যয় থেকে রক্ষা করবে।
এ ধরণের একটি চেক লিস্ট তাই জরুরি।
বিয়ের পরিকল্পনা, বা ছুটিতে যাওয়ার পরিকল্পনা।
এ সময় লিখে ফেলুন কি কি দরকার।
দেখবেন দারুণ পরিকল্পনা হয়ে যাচ্ছে।
নিজের সঞ্চয় কিভাবে ব্যয় করবেন ভাবুন
৬. সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনায় স্থির থাকতে নিজেকে সহায়তা করুন
আমাদের মস্তিষ্ক অনেক সময় মনে করিয়ে দেয় যে কোন কাজগুলো শুরু করেও আমরা শেষ করিনি।
আর এ কারণে যখন আপনি মনোযোগ দিয়ে কোনো কাজ করছেন তখন দেখবেন আরেকটি বিষয় মনে এসে আপনার কাজের ব্যাঘাত ঘটিয়ে দিচ্ছে।
এজন্য মনোবিজ্ঞানীরা বলেন কোনটা করবেন তা লিখে ফেলুন এবং সে অনুযায়ী কাজ করুন।
৭. যে জিনিসগুলো আপনাকে দমিয়ে রেখেছে সেগুলোর মুখোমুখি হোন
যেসব বিষয় আপনাকে এগুতে দিচ্ছেনা বা দমিয়ে রাখছে সেগুলোর মুখোমুখি হোন।
হয়তো মনে হবে বিষয়টি সুখকর নাও হতে পারে।
তারপরেও মোকাবেলা করুন।
দেখবেন শেষ পর্যন্ত সন্তুষ্টিই আসবে।