সিজারের পরে একজন মায়ের শারীরিক এবং মানসিক বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয়। স্বাভাবিক জীবনযাপনে ফিরে আসতে কমপক্ষে দেড় মাস লেগে যায়। দ্রুত সময়ের মধ্যে একজন মায়ের সুস্থতার জন্য কিছু বিধিনিষেধ রয়েছে।
গাইনী এন্ড অব্স বিশেষজ্ঞ ও সার্জন ডা. শাহিদা আক্তার রাখীর পরামর্শ অনুযায়ী জানিয়ে দিচ্ছি সিজারের পরে একজন মা কী করবেন আর কী করবেন না।
কী খাবেন: ভিটামিন সি জাতীয় খাবার বেশি খেতে হবে। এতে সেলাইয়ের জায়গা তাড়াতাড়ি ভালো হয়ে যাবে। সিজারের পরে একজন মাকে অবশ্যই বেশি বেশি পানি পান করতে হবে। এবং আঁশ জাতীয় খাবার বেশি খেতে হবে। তাহলে কোষ্ঠকাঠিন্য হবে না। সিজারের পরে মাকে দ্রুত সুস্থ হওয়ার জন্য আয়রন এবং ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার বেশি খেতে হবে। এসব খাবার খেলে আয়রণ ক্যালসিয়ামের ঘাটতি পূরণ হবে। তবে অ্যালার্জি বা কোষ্ঠকাঠিন্য হয় এমন খাবার এড়িয়ে যেতে হবে।
কখন হাঁটাচলা করবেন: সিজারের পরে একজন মা এক বা দুইদিন পর যখন একটু একটু হাঁটতে সক্ষম হবেন তখন তিনি আস্তে ধীরে হেঁটে খাবার টেবিলে যাবেন, ওয়াশরুমে যাবেন এবং বাচ্চাকে কোলে নিয়ে বসবেন। এ ধরনের কাজ করবেন। এ ছাড়া পাঁচ-দশ মিনিট হাঁটবেন। এতে পায়ের পেশির মাংসে রক্ত চলাচল ঠিক থাকবে। তিন সপ্তাহ পর্যন্ত আস্তে ধীরে একটানা ৫ বা ১০ মিনিট হাঁটতে হবে। এই সময়ের মধ্যে কখনোই টানা ৩০ মিনিট হাঁটা যাবে না।
মনের যত্নে কী করবেন: সিজারের পরে একজন মা বিষণ্নতায় ভুগে থাকেন। এই সময় পরিবারের সদস্যদের উচিত ওই মায়ের প্রতি সহমর্মিতা দেখানো। তার সঙ্গে সময় কাটানো।
সেলাই কখন কাটবেন: সিজারের সাত দিন পরে চিকিৎসকের কাছে গিয়ে সেলাই কাটতে হবে। এই সময়ের মধ্যে ওই জায়গা কোনোভাবে ভেজানো যাবে না। এই সময়ের মধ্যে গোসল না করে হাত মুখ মুছে নিতে হবে।
চিকিৎসকের পরামর্শে অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ, ব্যথানাশক ওষুধ সেবণ করতে হবে। এবং সেলাইয়ের জায়গাতে ওয়েনমেন্ট মলম লাগাতে হবে।
যা যা করা যাবে না
সিজারের পরে একজন মায়ের যদি সুস্থতা অনুভবও হয় তারপরেও ২৫ থেকে ৩০ দিন পরেই তিনি সহবাস করতে পারবেন না। কমপক্ষে ৪৫ দিন সময় নিতে হবে। এই সময়ের মধ্যে ভারী কাজ করা যাবে না। ওজন কমানোর জন্য ছয় মাস আগে কোনো ব্যায়াম করা যাবে না। এরপরে ওজন কমানোর জন্য সব ধরনের ব্যায়াম করতে পারবেন।