বর্তমানে আমাদের প্রায় সকলের কাছেই স্মার্টফোন একটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ জিনিস। এখন প্রায় প্রত্যেকেরই একটি স্মার্টফোন রয়েছে এবং এতে ব্যক্তিগত অনেক তথ্য মজুত থাকে। এই কারণে সবসময় সেই তথ্য চুরির আশঙ্কা থেকে যায়। কিন্তু স্মার্টফোনের কিছু সেটিংস পরিবর্তন করে, এই বিপদ কিছুটা হলেও কমানো যেতে পারে। ফোনে এমন ৫টি সেটিংস রয়েছে, যা পরিবর্তন করে নিজেদের স্মার্টফোন সুরক্ষিত রাখা সম্ভব।
ওয়াইফাই-ব্লুটুথ স্ক্যানিং – যখন ওয়াইফাই এবং ব্লুটুথের প্রয়োজন নেই, তখন নিজেদের স্মার্টফোনে ওয়াইফাই-ব্লুটুথ স্ক্যানিং বন্ধ রাখা উচিত। কারণ এই উভয় সেটিংসই চারপাশের প্রতিটি ওয়াইফাই এবং ব্লুটুথের জন্য সব সময় স্ক্যান করতে থাকে। এটি হ্যাকারদের তাদের ডিভাইসের সঙ্গে স্মার্টফোন লিঙ্ক করার সুযোগ দেয়।
সেনসিটিভ ইনফরমেশন অন লক স্ক্রিন – নিজেদের স্মার্টফোনের গোপনীয়তা রক্ষার জন্য, সবসময় ‘সেনসিটিভ ইনফরমেশন অন লক স্ক্রিন’ অ্যাক্টিভ রাখতে হবে। এটি অ্যাক্টিভ না থাকার কারণে, লক স্ক্রিনে মেসেজ ও নোটিফিকেশন দেখা যায়৷ এমন পরিস্থিতিতে, যে কেউ ব্যাঙ্কের তথ্য এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দেখে নিতে পারে।
লোকেশন – কেউ যদি সর্বদা নিজেদের স্মার্টফোনে লোকেশন অন রাখেন, তাহলে এটি সর্বদা তাঁর লোকেশন ট্র্যাক করে। অর্থাৎ তিনি কখন, কোথায় যাচ্ছেন এবং সেখানে কতক্ষণ ছিলেন তা সবকিছু ফোনে রেকর্ড থাকবে। এমন পরিস্থিতিতে, কেউ যদি চান তাঁর ফোন লোকেশন ট্র্যাক না করে, তাহলে তা বন্ধ করা উচিত।
ব্যক্তিগত বিজ্ঞাপন বা অ্যাডস – কেউ যদি একটু ভাল করে লক্ষ্য করে দেখেন, তাহলে অবশ্যই বুঝতে পারবেন যে, কেউ যদি বাড়িতে বা অফিসে বন্ধুদের সঙ্গে কোনও বিষয়ে কথা বলে ইন্টারনেটে সেই সম্পর্কে অনুসন্ধান করে, তাহলে কিছুক্ষণ পর থেকে ফোনে সেই বিষয়ে একই তথ্য পেতে থাকবে। তাঁদের ফোনে সেই সম্পর্কিত বিজ্ঞাপন দেখানো শুরু হয়ে যায়। এটি ঘটে কারণ তিনি ব্যক্তিগত বিজ্ঞাপনের অপশন বন্ধ করেননি। তাই অবিলম্বে এটি বন্ধ করা প্রয়োজন।
অ্যাপ লোকেশন পারমিশন – স্মার্টফোনে যে অ্যাপগুলো ইন্সটল করা হয়, তার বেশিরভাগই ইউজারের কাছ থেকে লোকেশনের অনুমতি চায়। কিন্তু, অনেক ক্ষেত্রেই সত্যিই এটি তাদের কোনও দরকারে লাগে না। তাই ইউজারদের শুধুমাত্র সেই সব অ্যাপের লোকেশনের পারমিশন দেওয়া উচিত, যেগুলো সঠিক অবস্থান না জেনে কাজ করতে পারে না। মনে রাখা উচিত যে কেউ যখন সেই অ্যাপটি ব্যবহার করছেন, তখনই লোকেশনের অনুমতি দেওয়া উচিত।