ফাগুন হাওয়া গায়ে মেখে উদযাপন হবে বিশ্ব ভালোবাসা দিবস। ভালোবাসার রঙে বরণ হবে বসন্ত। একই দিনে দুই দিবস ঘিরে বাহারি পসরা সাজিয়েছে ফুলের দোকানগুলো। সঙ্গে বেড়েছে দাম। বেশি বেড়েছে ভালোবাসার প্রতীক গোলাপের দাম। চুয়াডাঙ্গার জীবননগরে ফাগুনের আগুনে ভালোবাসার প্রতিটি থাই গোলাপ বিক্রি হয়েছে ৭০ থেকে ১২০টাকায়। মাথায় পরার ফুলের রিং ব্যবসায়ীরা বিক্রি করছে ১শ থেকে ২শ টাকায়। হাত তোড়ার দাম পড়ছে ১৫০ থেকে ১২শ টাকা।
সোমবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) বিকাল থেকে জীবননগর পৌর শহরের ফুলপট্টিতে ভিড় জমাতে শুরু করে ক্রেতারা। কিশোর-কিশোরী, শিক্ষার্থী, কাপল থেকে শুরু করে মধ্যে বয়সী নারী-পুরুষেরাও ভীড় করছেন ফুলের দোকানে। দুই বছর করোনা এবং স্কুল-কলেজ বন্ধের প্রভাব কাটিয়ে এবার ব্যাপক লাভের আশা করছেন ব্যবসায়ীরা এমনটিই মনে করেন ফুল চাষীরা। এসব দোকানে সবচেয়ে বেশি ফুল আসে যশোরের
গদখালী ও কালীগঞ্জ থেকে। বসন্তবরণ ও ভালোবাসা দিবসকে ঘিরে কিছু ব্যবসায়ী রাস্তার পাশে বসিয়েছেন অস্থায়ী দোকান। দোকানগুলো সাজানো হয়েছে বাহারি সব ফুল দিয়ে। এসব ফুলের মধ্যে রয়েছে, গোলাপ, রজনীগন্ধা, গেলোডিলাক্স, জারবেরা, চন্দ্রমল্লিকা, গাঁদা, জীবসি,থাই গোলাপসহ নানা ফুলের সমাহারে।
তবে ব্যবসায়ীরা বলছেন দুইটা দিবস একই দিনে পড়ায় বেচা বিক্রি কম। ফুলের দামও দিগুন। যার কারণে ফুল বিক্রি কম হচ্ছে । ‘সবচেয়ে বেশি ফুল কিনতে আসে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা। এবার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সরকারি ছুটি থাকার কারণে ফুল বিক্রি কম হচ্ছে বলে মনে করেন ব্যবসায়ীরা।
জীবননগর ফুল মার্কেটে প্রতিটি দেশি গোলাপ বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকায়, চীনা গোলাপ ৬০ থেকে ৮০ টাকায়, থাই গোলাপ ১শ থেকে ১৩০টাকা, মেরিন্ডি গোলাপ ৪০ থেকে ৫০ টাকায়, থাই গোলাপ ৮০ থেকে ১৫০ টাকায়, জারবেরা ২৫ থেকে ৩০ টাকায়, গ্লাডিওলাস ৩০ থেকে ৪০ টাকায়, রজনীগন্ধা ১৫ থেকে ২০ টাকায়, চন্দ্রমল্লিকা ১০ টাকায়, জিপসি ফুলের মুঠো ৫০ থেকে ৮০ টাকায়।ফুল দিয়ে তৈরি মাথার রিং প্রতিটি ১শ থেকে ২৫০ টাকা, হাত তোড়া আকারভেদে ১৫০ টাকা থেকে ১ হাজার ৫০০ টাকা। এ ছাড়া পছন্দমতো তৈরি ফুলের তোড়া ও ক্রাউন পাওয়া যাচ্ছে ২শ টাকা থেকে ১ হাজার টাকায়।
ফুল কিনতে আসা সম্রাট বলেন, এবছর ফুলের দাম অনেক বেশি। ২কেজি চালের দামে ১টা ভালোবাসার গোলাপ। কিছু করার নাই প্রিয়জনকে
ফুল দিতে হবে। প্রিয়জন খুশি হলে আমিও খুশি হবো। ফুল ক্রেতা উম্মি বলেন,‘এ বছর ফুলের দাম অনেক বেশি। প্রতি পিস গোলাপ ৩০ টাকার নিচে বিক্রি করছে না। দাম বেশি হলেও কী করব, প্রিয়জনের জন্য তো নিতে হবেই।
দাম বেশি কেন? এমন প্রশ্নের জবাবে ইমরান বলেন, ‘যশোরের পাইকারি ফুল আনতে অনেক বেশি দাম দিতে হচ্ছে। সেখানে ফুলের দাম বেশি হওয়ায় এ বছর ফুলের দাম বেশি।