এককভাবে ২০৩৪ ফুটবল বিশ্বকাপ আয়োজন করতে চায় সৌদি আরব। ইতোমধ্যে সেই লক্ষে কাজ শুরু করেছে দেশটি। গত অক্টোবরে একক বিডার হিসেবে শুধু মধ্যপ্রাচ্যের তেলসমৃদ্ধ এই দেশটির নাম এসেছিল। ওই সময়ে ফিফার ডেডলাইন শেষ হবার প্রাক্কালে অস্ট্রেলিয়া লড়াই থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেয়। এদিকে চলতি বছরের শেষ দিকে ফিফা কংগ্রেসে স্বাগতিক দেশের নাম ঘোষণা করা হবে।
সৌদি আরব ফুটবল ফেডারেশনের (এসএএফএফ) সভাপতি ইয়াসির আল মিসেহাল বলেছেন, দেশটির দ্রুত রূপান্তরের কারণে বিড সফল হবার সম্ভাবনা রয়েছে।
এ প্রসঙ্গে সৌদি ফুটবল প্রধানের ভাষ্য, এক্ষেত্রে আমাদের ফুটবল গল্প বিশ্বের কাছে তুলে ধরা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। পুরুষ ও নারী ফুটবলে আমরা অভূতপূর্ব উন্নতি করেছি। পুরো বিশ্বকে আমাদের এই চমৎকার যাত্রার সঙ্গে যোগ করতে বিডে উন্মুক্ত আমন্ত্রণ থাকবে।
বিডিংয়ে একক প্রার্থী থাকলেও ফিফার আইনানুযায়ী, টুর্নামেন্ট আয়োজন করতে হলে সৌদি আরবকে আনুষ্ঠানিকভাবে বিডে অংশ নিতে হবে। সৌদি আরবের বিডের মূল স্লোগান হলো, ‘ক্রমবর্ধমান ও একসঙ্গে।’
২০২১ সালের পর থেকে ক্রীড়াঙ্গনের উন্নতির জন্য সৌদি আরব প্রায় ৫ বিলিয়ন পাউন্ড ব্যয় করেছে। দেশের অর্থনীতিকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য দেশটির যুবরাজ ক্রীড়াঙ্গনকে মূল মন্ত্র হিসেবে বিবেচনা করেছেন। এতে সৌদি আরব ইতোমধ্যে লাভবানও হয়েছে।
ফুটবল, ফর্মুলা ওয়ান, গলফ, বক্সিংয়ের বেশ কিছু বড় ইভেন্ট সম্প্রতি সৌদি আরবে অনুষ্ঠিত হয়েছে। সৌদি পেশাদার লিগে পাবলিক ইনভেস্টমেন্ট ফান্ড নিজেদের অবস্থান নিশ্চিত করেছে। এ ছাড়া প্রিমিয়ার লিগের ক্লাব নিউক্যাসল ইউনাইটেড কিনে নিয়েছে তারা। ক্রীড়াঙ্গনের এসব বড় ইভেন্টের মাধ্যমে দেশটির পর্যটন শিল্পেরও উন্নতি হয়েছে।
এদিকে ফিফার গাইডলাইন অনুযায়ী, বিশ্বকাপের স্বাগতিক হতে হলে একটি দেশকে অবশ্যই মানবাধিকারের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে হবে।
ধারণা করা হচ্ছে, ২০২২ কাতার বিশ্বকাপের মতোই জুন-জুলাইয়ে প্রচণ্ড গরমের কথা বিবেচনা করে ২০৩৪ বিশ্বকাপও নভেম্বর-ডিসেম্বরে আয়োজিত হবে।
এই প্রথমবারের মতো ৪৮ দলের বর্ধিত কলেবরের টুর্নামেন্ট কোনো একটি একক দেশে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। আর মরক্কো, পর্তুগাল ও স্পেনে ২০৩০ বিশ্বকাপ আয়োজিত হতে যাচ্ছে। এই বিশ্বকাপের প্রথম তিনটি ম্যাচ উরুগুয়ে, আর্জেন্টিনা ও প্যারাগুয়েতে অনুষ্ঠিত হবে। ২০২৬ সালে প্রথমবারের মতো ৪৮ দল নিয়ে আয়োজিত বিশ্বকাপ যুক্তরাষ্ট্র, মেক্সিকো ও কানাডায় অনুষ্ঠিত হবে।