আপনার মোটরসাইকেল কি ৩০ হাজার কিলোমিটার চালানো হয়ে গেছে? তাহলে আপনাকে কিছু বিষয়ে সতর্ক হতে হবে। অন্যথায় দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে। দীর্ঘদিন বাইক চালানোর ফেলে নানা ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। এগুলো সঠিক সময়ে মেরামত না করলে বিপদ।
শুধু হেলমেট পড়লেই সুরক্ষিত থাকা যায় না, মাথায় রাখতে হয় বেশ কিছু বিষয়। বাইক চালানোর সময় যা বহু মানুষ অদেখা করে যান। ফলে প্রতি বছর অসংখ্য বাইক দুর্ঘটনার খবর শোনা যায়। দীর্ঘদিন ব্যবহার করার পর মোটরসাইকেলের চাকা জীর্ণ হয়ে যায়। যে কারণে দুর্ঘটনার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।
সাম্প্রতিক কয়েক বছরে রাস্তার অবস্থা আগের থেকে অনেক উন্নত হয়েছে। যার ফলে গাড়ি-বাইক দ্রুত চালাতে পারছেন চালকেরা। যা একদিকে ভালো খবর হলে অন্যদিকে জীর্ণ চাকাসহ বাইক চালানোর ক্ষেত্রে বাড়ছে ঝুঁকি।
রাস্তার পরিস্থিতি ভালো হওয়ার ফলে চাকা স্লিপ খাওয়ার আশঙ্কা বেড়ে গেছে। হঠাৎ করে ব্রেক কষার ফলে টাল সামলাতে না পেরে স্লিপ খায় এই ধরনের জীর্ণ, দুর্বল বাইকের চাকা। আর হাইওয়েতে বড় গাড়ি, ট্রাকের নিচে চলে আসার ঝুঁকিও বাড়ছে ।
জীর্ণ চাকা ব্যবহার করা উচিত নয়
আপনার স্কুটার বা বাইকের চাকা যদি জীর্ণ হয় তাহলে তা ব্যবহার করা অপরাধ। নিয়ম বলছে, যদি কোনও টায়ারের ঘনত্ব বা থিকনেস ১.৬ মিলিমিটারের কম হয় তাহলে সেটি জীর্ণ টায়ার হিসাবে ধরা হয়। দীর্ঘদিন ব্যবহারের ফলে টায়ারের একাধিক অংশ ক্ষয় হতে শুরু করে। বিশেষ করে বর্ষাকালে, এই ধরনের বাইকের চাকা স্লিপ হওয়ার আশঙ্কা সবথেকে বেশি।
এই কাজ করলে জরিমানার মুখেও পড়তে পারেন। পাশাপাশি অনেকেই জানেন না টায়ারেরও এক্সপেয়ার ডেট থাকে। অর্থাৎ একটা নির্দিষ্ট সময়ের পর টায়ারের কার্যক্ষমতা শেষ হয়ে যায়। তবে বহু মানুষ আছেন যারা মেয়াদ শেষ হওয়ার পর টায়ার ব্যবহার করেন।
আপনার টায়ার যদি ক্ষতিগ্রস্ত হয় তাহলে তার নম্বর দেখে সেটি বদলে নিতে পারেন। নির্দিষ্ট সময় অন্তর এই টায়ার বদলানোর পরামর্শ দিয়ে থাকেন বিশেষজ্ঞরা। সাধারণত বলা হয়, ৩০ হাজার কিলোমিটার চলার পর বাইকের চাকা বদলানো উচিত। যেহেতু নতুন টায়ারের গ্রিপ ভালো হয় তাই সেটি চট করে রাস্তায় স্লিপ খায় না।
গত কয়েক বছরে যে হারে সড়ক দুর্ঘটনা বেড়েছে তা উদ্বেগজনক। বিশেষ করে এই দুর্ঘটনায় দু চাকা চালকদের সংখ্যা বেশি। তাই তাদের অতিরিক্ত সতর্ক থাকা উচিত, বাইকে যে টায়ার রয়েছে তা জীর্ণ হয়ে গেছে কিনা যাচাই করুন। প্রয়োজনে নির্দিষ্ট সময় অন্তর টায়ার বদলানো উচিত।