কয়েকদিন পরেই চলে আসবে ঈদুল ফিতর। সব মিলিয়ে বাতাসে বইছে উৎসবের আনন্দ। চারদিকে সুসজ্জিত হয়ে উঠছে। কিন্তু এমন সময়ে যদি চোখের তোলায় ফোলাভাব, মুখে-চোখে ক্লান্তিভাব থাকে, তাহলে কি শাড়ি পরে মেকআপ দিয়ে উজ্জ্বলতা পাওয়া যাবে? এর জন্য আপনাকে স্কিন কেয়ারের ওপরই জোর দিতে হবে।
কী-কী করবেন আর কোন বিষয়গুলো এড়িয়ে চলবেন, রইল টিপস-
ফেসিয়াল: বয়স যদি কুড়ি পার হয় তাহলে ফেসিয়াল করিয়ে নিন। এমন ফেসিয়াল বেছে নিন, যা ত্বক থেকে মৃত কোষ, ট্যান তুলে দেবে। পাশাপাশি ত্বকে এনে দেবে প্রাকৃতিক জেল্লা। বাজারচলতি ফেসিয়াল ব্যবহার করতে পারেন। তবে, শেষ মুহূর্তে কোনও নতুন পণ্য ব্যবহার করবেন না। এতে ত্বকের ওপর কোনও র্যাশ বেরোলে সামাল দেওয়া কঠিন হয়ে পড়তে পারে।
ম্যাসাজ: বিশেষ দিনের আগে মুখে ম্যাসাজ করলে ত্বকে প্রাকৃতিক জেল্লা ফুটে ওঠে। যে কোনও বিউটি অয়েল কিংবা ক্রিম দিয়ে আপনি মুখে ম্যাসাজ করতে পারেন। প্রয়োজন ম্যাসাজ রোলার ব্যবহার করতে পারেন। ম্যাসাজ করলে ত্বকে রক্ত সঞ্চালন উন্নত হয়। রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে এই কাজটা সেরে ঘুম দিলে পরদিন সকালে গ্লোয়িং ত্বক পাবেন।
পানি পান করুন: দেহে পানির ঘাটতি থাকলে কোনওভাবেই ত্বকের জেল্লা ফুটে উঠবে না। ডিহাইড্রেশন ত্বককে শুষ্ক দেখায়। তার সঙ্গে ব্রেকআউটের সমস্যা বাড়ায়। তাই প্রচুর পরিমাণে পানি পান করুন। এতে যেমন ত্বক হাইড্রেট থাকবে, তেমনই উজ্জ্বল দেখাবে।
ঘুম দরকার: আপনি সারাদিন যতটা কর্মব্যস্ততা ও মানসিক চাপের মধ্যে কাটাবেন, আপনার ত্বকের ওপরও তার প্রভাব পড়বে। তাই রাতে ভালো ঘুম দরকার। ঘুম ভালো না হলে চোখ ফুলে থাকবে, ত্বক ক্লান্ত দেখাবে। আর গাঢ় ঘুম হলে পরদিন সকালে নিজেই চোখ সরাতে পারবেন না ত্বক থেকে।
ত্বকের যত্ন নিন: শেষ মুহূর্তে ত্বক নিয়ে নতুন এক্সপেরিমেন্ট করবেন না। রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে ক্লিনজিং, টোনিং ও ময়েশ্চারাইজিং এই ৩ স্টেপ অবশ্যই মেনে চলুন। এতে ত্বকের সমস্যা কমবে। ত্বক হাইড্রেট থাকবে। এবং ত্বকের উজ্জ্বলতা ফুটে উঠবে।