মোবাইল ফোন যতই দামী হোক না কেন, চার্জ না করা পর্যন্ত অকেজো। অতএব, একটি ভাল চার্জার ব্যবহার করা প্রয়োজন, বিশেষ করে একটি আসল ব্র্যান্ডের। যাইহোক, এটি প্রায়ই দেখা যাচ্ছে যে একটি ভাল চার্জার ব্যবহার করেও ভালো ফলাফল পাওয়া যাচ্ছে না, ফোনটি চার্জ করতে অনেক সময় লাগে। কখনও কখনও এটাও দেখতে দেখা যায় যে, চার্জার চালু আছে কিন্তু ফোন চার্জ হচ্ছে না। এক্ষেত্রে, একটি পরিষেবা কেন্দ্রে পরিদর্শন করার চিন্তা আমাদের মনে আসবে। তবে, তার আগে বাড়িতে কিছু পরীক্ষা করে দেখা দরকার, হয়তো সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে!
সবার আগে চার্জার এবং ক্যাবল পরীক্ষা করতে দেখতে হবে। হতে পারে চার্জারে চিড় ধরেছে বা ক্যাবল পুড়ে গিয়েছে। এ রকমটা হলে অবশ্য তা বাড়িতে ঠিক হবে না, নতুন একটা কিনতে হবে।
পরের ধাপে আসে চার্জিং পোর্টের কথা। হয়তো চার্জার আর ক্যাবল ঠিকই আছে, ময়লা জমেছে চার্জিং পোর্টে। এক্ষেত্রে চার্জিং পোর্ট ব্রাশ দিয়ে পরিষ্কার করতে হবে। পোর্টে যেন কোনো রকমের আঘাত না পড়ে, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
ইউএসবি পোর্টে পানি থাকতে পারে বা স্পষ্ট করে বললে তা আর্দ্র অবস্থায় থাকতে পারে। এই আর্দ্রতার কারণেও ফোন চার্জ হতে সমস্যা হয়। সুতরাং, তা যাতে না হয়, সে বিষয়ে আমাদের খেয়াল রাখতে হবে।
ফোনের অপারেটিং সিস্টেম পুরনো হলেও চার্জে সমস্যা হয়- অতএব, তা সর্বদা আপডেটেড রাখা উচিত, এতে চার্জেও গণ্ডগোল হবে না, ফোনও মসৃণ গতিতে চলবে। সব শেষে আসে ব্যাটারির কথা।
##4636## ডায়াল করে টেস্টিং মেনু থেকে ব্যাটারি ইনফরমেশনে গিয়ে চার্জিং লেভেল, ব্যাটারির তাপমাত্রা ইত্যাদি দেখে নেওয়া যায়। এর থেকে বোঝা যাবে যে, ব্যাটারি বদলানোর দরকার আছে কি না। তবে এই কোড সব অ্যান্ড্রয়েড ফোনে কাজ করে না। সেক্ষেত্রে গুগল প্লে স্টোর থেকে কোনো থার্ড পার্টি অ্যাপ ডাউনলোড করেও করে ব্যাটারির স্থিতিশীলতা পরীক্ষা করতে পারেন।
এখানে আপনি ব্যাটারি প্রতিস্থাপন করা প্রয়োজন কিনা তা খুঁজে বের করতে পারেন। তবে এই কোডটি সব অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোনে কাজ করে না। সেক্ষেত্রে, আপনি ব্যাটারির স্থিতিশীলতা পরীক্ষা করতে গুগল প্লে স্টোর থেকে একটি থার্ড পার্টি অ্যাপ ডাউনলোড করতে পারেন।