যেকোনো রান্না করার চাইতেও কঠিন হচ্ছে কী রান্না করা যায় এটা ভেবে বের করা। পরিবারের সবার মনমতো নাশতা কিংবা খাবার টেবিলে না দেওয়া গেলে গৃহিণীর মনই যেন ভালো থাকে না। সন্ধ্যার নাশতায় কী দেওয়া যায় কিংবা বাচ্চার টিফিনে, এসব চিন্তা তুলে রাখতে পারেন যদি রান্নাঘরে থাকে চিড়া। ভাবছেন চিড়া দিয়ে কী হবে? সন্তানের টিফিন কিংবা সকাল-সন্ধ্যার নাশতায় চিড়ার পোলাও করে দিতে পারেন।
খুশিমনে খাবে পরিবারের সবাই। মজাদার চিড়ার পোলাওয়ের রেসিপি দিয়েছেন তাহ্মিনা জামান, জেনে নিন রেসিপি।
উপকরণ
মুগ ডাল-দেড় কাপের চেয়ে সামান্য বেশি
ঘি-প্রয়োজনমতো
পেঁয়াজ কুচি-১টা
আদা কুচি-ছোট এক টুকরা
কাঁচা মরিচ-৩-৪টা
টমেটো-১টি মাঝারি সাইজের
মটরশুঁটি-১/২ কাপ
এলাচ গুঁড়া-১/২ চা চামচ
দারচিনি-১টা
তেজপাতা-২টা
শুকনা মরিচ-৩টা
হলুদ-১ চা চামচ
ভাজা জিরা গুঁড়া-১/২ চা চামচ
ভাজা ধনিয়া গুঁড়া-১/২ চা চামচ
ভাজা মৌরির গুঁড়া-১/২ চা চামচ
কিশমিশ-প্রয়োজনমতো
কাজুবাদাম-প্রয়োজনমতো
লবণ-স্বাদমতো
চিনি-স্বাদমতো
নারকেল কোরা-১/২ কাপ
প্রণালী
চিড়ার খিচুড়ি রান্না করতে গেলে শক্ত চিড়া নিতে হবে। কেননা নরম চিড়া গলে গিয়ে খেতে ভালো লাগবে না।
চিড়া ধুয়ে খুব ভালো করে পানি ঝরিয়ে নিন। মুগডাল ভেজে নিন। ভাজা ডাল সামান্য হলুদ দিয়ে মোটামুটি সিদ্ধ করে নিন। একেবারে গলে যেন না যায় খেয়াল রাখুন।
সিদ্ধ ডালের অতিরিক্ত পানি ঝরিয়ে নিন। ডাল ঠাণ্ডা হয়ে এলে চিড়ার সঙ্গে মেখে নিন। সঙ্গে মেশান পরিমাণমতো লবণ এবং চিনি। পেঁয়াজ একদম মিহি করে কেটে নিন। আদা মিহি এবং লম্বা লম্বা করে কুচিয়ে নিন।
টমেটো ছোট করে টুকরো করে নিন। মটরশুঁটি আলাদা করে সিদ্ধ করে নিতে হবে। পুরো রান্নাটা ঘি দিয়ে হলেই ভালো। কড়াইয়ে পরিমাণমতো ঘি গরম করুন। ঘিতে পেঁয়াজ কুচি এবং আদা কুচি দিয়ে ভাজুন। এর মধ্যে দিয়ে দিন তেজপাতা এবং শুকনা মরিচ। ভাজতে ভাজতে এর মধ্যে দারচিনি এবং এলাচ গুঁড়া দিয়ে নাড়তে থাকুন। এবার টমেটোর টুকরা এবং কাঁচা মরিচ দিয়ে নাড়াচাড়া করতে থাকুন। এবার সামান্য লবণ দিয়ে কষান। একটু কষে এলে হলুদ গুঁড়া, ভাজা জিরার গুঁড়া, ভাজা ধনিয়া গুঁড়া এবং ভাজা মৌরির গুঁড়া দিয়ে আবার নাড়তে থাকুন।
https://bangla-bnb.saturnwp.link/himoglabin-barate-ja-khaben/
মসলা ভালো করে কষা হয়ে গেলে এতে মটরশুঁটি, কাজুবাদাম ও কিশমিশ দিয়ে মিশিয়ে নিন। এবার চিড়া ও ডালের মিশ্রণ দিয়ে হালকা হাতে নাড়ুন। চিড়ার মিশ্রণ ভাজতে থাকুন। ভালো করে ভাজা হয়ে এলে ওপরে ঘি ছড়িয়ে দিন। সব শেষে ওপরে নারকেল কোরা ছড়িয়ে দিন। চাইলে ধনেপাতা কুচিও দিতে পারেন।