একটানা ২২৭ ঘণ্টা ধরে রান্না করার রেকর্ড গড়েছেন ঘানার এক নারী। পশ্চিম আফ্রিকার এই দেশটির ওই রাধুনীর নাম ফাইলাতু আব্দুল-রাজাক। দুই শতাধিক ঘণ্টা ধরে বিরতিহীন রান্না করে তিনি বিশ্ব রেকর্ড ভেঙেছেন বলে মনে করা হচ্ছে। বুধবার (১০ জানুয়ারি) রাতে এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঘানার শেফ ফাইলাতু আব্দুল-রাজাক ২২৭ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে বিরতিহীন রান্না করার পরে বিশ্ব রেকর্ড ভেঙেছেন বলে মনে হচ্ছে। নিজেকে দেশের জাতীয় পতাকায় মুড়িয়ে ফাইলাতু আব্দুল-রাজাক বুধবার তার রান্নার সমাপ্তি করেন। এসময় ভিড় করে থাকা বিপুল সংখ্যক মানুষকে তিনি অভিবাদন জানান।
বিবিসি বলছে, এই ম্যারাথন রান্নার আগে ফাইলাতু এটিকে তার ‘জাতীয় অ্যাসাইনমেন্ট’ বলে অভিহিত করেন। সেসময় তিনি বলেছিলেন, তিনি ঘানার জন্য এই কাজ করতে চলেছেন। পরে রান্না শেষে তামালে শহরে হোটেলের রান্নাঘর থেকে বেরিয়ে আসার সময় লোকেরা উল্লাস করে।
ফাইলাতু আব্দুল-রাজাকের দল বলেছে, একটানা বিরতিহীন রান্না করার বিষয়ে তারা আগের রেকর্ডটি ভেঙেছে। আর এই কাজের আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি নিশ্চিতকরণের জন্য তারা গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে (জিডব্লিউআর) প্রমাণ পাঠাবে।
গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস অবশ্য ইতোমধ্যেই আব্দুল-রাজাকের কৃতিত্বের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সে সংস্থাটি জানিয়েছে: ‘আমরা তার প্রমাণ পর্যালোচনা করার জন্য উন্মুখ হয়ে আছি!’
বিবিসি বলছে, সবচেয়ে বেশি সময় ধরে বিরতিহীন রান্না করার রেকর্ডটির বর্তমান ধারক হচ্ছেন আইরিশম্যান অ্যালান ফিশার। তিনি ১১৯ ঘণ্টা ৫৭ মিনিট ধরে রান্না করেছিলেন। আর ফাইলাতু আব্দুল-রাজাক একটানা বিরতিহীনভাবে রান্না করেছেন ২২৭ ঘণ্টা।
আব্দুল-রাজাক বলেছেন, তিনি নিশ্চিত করতে চেয়েছিলেন যে, তার পরে কেউ তার রেকর্ড ভাঙার চেষ্টা করলে তা যেন তার জন্য খুব ‘কঠিন’ হয়।
এদিকে ঘানার ভাইস-প্রেসিডেন্ট মাহামুদু বাউমিয়াসহ দেশটির রাজনীতিবিদরা, অসংখ্য সেলিব্রিটি এবং এমনকি ঘানার সামরিক বাহিনীও তাদের দেশের এই শেফের প্রতি তাদের সমর্থন প্রকাশ করেছে।
https://bangla-bnb.saturnwp.link/%e0%a6%ac%e0%a6%bf%e0%a6%af%e0%a6%bc%e0%a7%87%e0%a6%b0-%e0%a6%aa%e0%a6%bf%e0%a6%81%e0%a6%a1%e0%a6%bc%e0%a6%bf%e0%a6%a4%e0%a7%87-%e0%a6%ae%e0%a7%8c%e0%a6%b8%e0%a7%81%e0%a6%ae%e0%a7%80-%e0%a6%b9/
এর আগে গত বছরের ডিসেম্বরে ঘানার মিডিয়া ব্যক্তিত্ব আফুয়া আসান্তেওয়া পাঁচ দিনের গানের ম্যারাথন সম্পন্ন করেন। এর মধ্যে ক্রিসমাস ডেও অন্তর্ভুক্ত ছিল। নিজের সেই কীর্তির পর এখন তিনিও গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের স্বীকৃতি অর্জন করার আশা করছেন।