শীতের বাজার ভরে উঠেছে ছোট ছোট, দেশি ফুলকপিতে। খিচুড়ি, নিরামিষ পাঁচমিশালি তরকারি কিংবা আলু-ফুলকপির ডালনা তো আছেই। এমন দেশি কপি দেখলে আরও একটি পদের কথা মনে পড়ে। সেটি হলো রোস্ট।
নাম শুনে বিশাল কিছু মনে হলেও রান্নার পদ্ধতি কিন্তু খুব সহজ। ফুলকপির সাধারণ তরকারি খাওয়ার জন্য গোটা শীতকাল তো রইলই। স্বাদ বদল করতে এক-আধ দিন রোস্ট খাওয়া যেতে পারে। বাড়িতে সেই পদ কীভাবে রাঁধবেন? রইল রেসিপি।
উপকরণ:
ফুলকপি: ১টি
আদা: ১ চা চামচ
কাঁচা মরিচ: ২ থেকে ৩টি
টক দই: ২ টেবিল চামচ
কাজুবাদাম: ৬-৭টি
পোস্তবাটা: ১ টেবিল চামচ
জিরে গুঁড়ো: ১ চা চামচ
ধনে গুঁড়ো: ১ চা চামচ
কাশ্মীরি মরিচর গুঁড়ো: ১ চা চামচ
শুকনো মরিচ: ১টি
ছোট এলাচ: ২টি
লবঙ্গ: ২-৩টি
দারচিনি: ১টি
তেজপাতা: ১টি
গরম মশলার গুঁড়ো: আধা চা চামচ
ঘি: ২ চা চামচ
সর্ষের তেল: ১ চা চামচ
সাদা তেল: ২ টেবিল চামচ
চিনি: ২ চা চামচ
লবণ: স্বাদ অনুযায়ী
প্রণালী:
১. কাজুবাদাম, পোস্ত, আদা এবং কাঁচা মরিচ একসঙ্গে বেটে নিন।
২. ফুলকপি ছোট ছোট টুকরো করে কেটে ভালো করে ধুয়ে নিন। পানি ঝরিয়ে রাখুন।
৩. কাজু, পোস্ত, ফেটানো টকদই, জিরে গুঁড়ো, ধনে গুঁড়ো, কাশ্মীরি মরিচের গুঁড়ো এবং সর্ষের তেল দিয়ে ভালো করে ম্যারিনেট করে রাখুন।
৪. এবার কড়াইতে সাদা তেল এবং ঘি একসঙ্গে গরম হতে দিন।
৫. এর মধ্যে ফোড়ন হিসেবে দিন গোটা গরম মশলা, শুকনো মরিচ ও তেজপাতা।
৬. একটু ভেজে নিয়ে আদা ও মরিচ বাটা দিয়ে দিন।
৭. এবার ম্যারিনেট করা ফুলকপিটা দিয়ে কষান।
৮. কষানো হয়ে গেলে ১৫ থেকে ২০ মিনিটের জন্য ঢাকা দিয়ে রেখে দিন। ফুলকপি সেদ্ধ হয়ে যাবে।
৯. তেল ছাড়তে শুরু করলে তাতে অল্প গরম পানি ঢেলে দিয়ে ফুটতে দিন।
https://bangla-bnb.saturnwp.link/olosota-katanor-way/
১০. ফুলকপি পুরোপুরি সেদ্ধ হয়ে এলে চিনি এবং গরমমশলা দিয়ে নামিয়ে নিন।
১১. ভাত, পোলাও বা লুচির সঙ্গে পরিবেশন করুন গরম গরম ফুলকপির রোস্ট।